কোলন ক্যানসার মূলত মধ্য বয়স বা তার থেকে বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা যায়। তবে কিছু ক্ষেত্রে কম বয়সেও দেখা দিতে পারে এই রোগ। প্রাথমিকভাবে কোলনের ভিতর উপবৃদ্ধি হিসেবে কোলন ক্যানসারের সূত্রপাত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই উপবৃদ্ধিগুলি ক্যানসারে রূপান্তরিত হতে পারে। মলদ্বারে প্রদাহ, মলত্যাগের সময় তীব্র যন্ত্রণা কিংবা রক্তপাতের মত সমস্যা কোলন ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।
১। দিনে কত বার মল ত্যাগের প্রয়োজন অনুভূত হয়, আচমকা তার তারতম্য ঘটা কোলন ক্যানসারের অন্যতম লক্ষণ।
২। আচমকা বমি বমি ভাব, গা গুলিয়ে ওঠা, ওজন কমে যাওয়াও কোলন ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।
৩। কোলন ক্যানসারের রোগীদের মল ত্যাগের সময় ব্যথা ও যন্ত্রণা অনুভূত হতে পারে। মলত্যাগের পরেও মল রয়ে যাওয়ার অনুভূতি দেখা যায়। সরু ফিতের মতো মল নির্গত হওয়াও কোলন ক্যানসারের উপসর্গ হতে পারে।
৪। মলদ্বারে রক্তপাত কোলন ক্যানসারের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। অর্শ্বের সমস্যাতেও মলদ্বারের রক্তপাত হয়। তবে এই রক্তপাতের মধ্যেও রয়েছে তারতম্য। অর্শ্ব রোগীদের ক্ষেত্রে যে রক্তপাত হয় তা সাধারণত লাল। অপরদিকে কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে এই রক্ত কালচে রঙের হয়। কালচে রং দেহের অভ্যন্তর থেকে নির্গত রক্তের সূচক।
৫। পেট ব্যথাও কোলন ক্যানসারের অন্যতম মুখ্য একটি উপসর্গ।
৬। কোলন ক্যানসারে যেহেতু অন্ত্র থেকে রক্তপাত হয়, তাই এটি রক্তাল্পতা তৈরি করে। রক্তাল্পতা ডেকে আনে ক্লান্তি।
তবে মনে রাখা দরকার, সাধারণ মানুষের পক্ষে কোলন ক্যানসারের লক্ষণ বুঝে ওঠা অত্যন্ত কঠিন। কাজেই এই ধরনের যেকোনো উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়াই বিচক্ষণতার পরিচয়।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
ইউএইচ/
Leave a reply