ক্রেতারা তেলের জন্য ঘুরছেন, কিন্তু বাজারে তেল নেই। সরবরাহ একেবারেই কমিয়ে দিয়েছে মিল মালিকরা, ফলে তেল নিয়ে বাজারে কাড়াকাড়ি অবস্থা। কিছু দোকানে সামান্য মিললেও বিক্রির ক্ষেত্রে দেয়া হচ্ছে নানা শর্ত। নতুন করে দাম বৃদ্ধির জন্যই কমিয়ে দেয়া হয়েছে সরবরাহ। পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও সংকট সৃষ্টির জন্য দায়ীদের খুঁজে বের করতে চায় সরকার। আবারও মিল পর্যায়ে অভিযান শুরু করবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
কারওয়ান বাজারে তেলের জন্য ক্ষুব্ধ ক্রেতা। কোনো দোকানেই নেই পর্যাপ্ত তেল। যাও দুয়েকটি দোকানে মিলছে তাতে জুড়ে দেয়া হচ্ছে শর্ত। অর্থাৎ তেলের সঙ্গে নিতে হবে অন্য পণ্য। শুধু অন্য পণ্যই নয়, সুযোগ বুঝে বোতলের গায়ের দামের চেয়ে নেয়া হচ্ছে বেশি দাম। সামনে ঈদ, তাই ঈদের আগে বাড়বে তেলের চাহিদা। তখন বেশি দামে তেল বিক্রির জন্য অসাধু অনেক ব্যবসায়ী মজুদও করছেন।
বলা হচ্ছে, তেলের যথেষ্ট মজুদ থাকলেও তৈরি করা হচ্ছে কৃত্রিম সংকট। রোজার মাসে দরকার হয় পৌনে তিন লাখ টন ভোজ্যতেল। কিন্তু আমদানি হয়েছে তার চেয়ে বেশি।
মিল পর্যায়ে আবারও তদারকি শুরু করতে চায় সরকার। দায়িত্বশীলদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কোনো বিশৃঙ্খলা পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিশ্ব বাজারে ঊর্ধ্বমুখী ভোজ্যতেলের দাম। তাই ঈদের আগেই দাম বাড়ানোর পক্ষে উৎপাদকরা।
/এডব্লিউ
Leave a reply