গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুরের ঢাকা—ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানবাহন ও গাড়ির চাপ বেশি থাকায় কয়েকটি পয়েন্টে বিচ্ছিন্নভাবে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের ব্যাপক চাপ রয়েছে, তবে কোথাও যানজট নেই। ঘরমুখো মানুষ স্বস্তিতেই বাড়ি ফিরছে। অন্যদিকে গাজীপুরের বিভিন্ন বাস স্টেশনে ঘরমুখো মানুষদের বাসের জন্য অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড়ও বাড়ছে। যারা বাস পাচ্ছে না, তারা ভিন্ন উপায়ে ট্রাক, পিকআপ ও মোটরসাইকেল ভাড়া করে যাচ্ছেন।
গাজীপুর সড়ক পরিবহণ শ্রমিক—কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি সুলতান আহমেদ সরকার জানান, ঈদ যাত্রার আগে ঢাকা—ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিআরটি প্রকল্পের কাজের কারণে এবার ভয়বহ যানজটের সৃষ্টির আশঙ্কা ছিল। তবে সেই সব আশঙ্কা দূর করে তুলনামূলক স্বাভাবিকভাবেই যানবাহন চলাচল করছে।
এদিকে বাসে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার অভিযোগ করছেন যাত্রীরা। গাজীপুর মহানগরের ভোগড়া এলাকার স্টারলাইট সোয়েটার কারখানার শ্রমিক মোক্তার হোসেন বলেন, ময়মনসিংহ যেতে অন্য সময় বাসে ২০০—২৫০ টাকা ভাড়া দিতে হতো। কিন্তু এখন ভাড়া চাচ্ছে ৪০০—৫০০ টাকা। যার যেমন খুশি ভাড়া আদায় করার অভিযোগও করেন তিনি। এমন অভিযোগ অনেক যাত্রীরই। তবে শনিবার সকাল ১০টার দিকেও দেখা মিলেনি জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্টের।
গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমানকে জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অন্যদিকে সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুজ্জামান কিরণের দাবি, চান্দনা—চৌরাস্তা, বোর্ডবাজার ও টঙ্গীতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিনট পুলিশের উপ—কমিশনার আব্দুল্লাহ আল—মামুন জানান, এখন পর্যন্ত সকলের সহযোগিতায় ঢাকা—ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানচলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক আছে। মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। শনিবার সকালে গাড়ি ও যাত্রীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় ঢাকা—ময়মনসিংহ মহাসড়কের ছয়দানা ও চান্দনা চৌরাস্তায় হয়ে তেলিপাড়া পর্যন্ত অংশে যানবাহন কিছুটা ধীরগতিতে চলছে।
গাজীপুর মহানগরের ভোগড়া বাইপাস পেয়ারাবাগান এলাকায় শনিবার সকালে উত্তরবঙ্গগামী এসআর ট্রাভেলস কাউন্টারে গিয়ে দেখা গেছে যাত্রীর সংখ্যা তুলনামূলক কম। এ কাউন্টারের ব্যাবস্থাপক হুমায়ুন কবির জানান, উত্তর বঙ্গে যমুনা ব্রীজের আগে তাদের বাস চলাচলে কোন সমস্যা বা যানজট নেই। স্বাভাবিকভাবেই চলছে যানবাহন। একই কথা জানান এখানকার ময়নুল হক কাউন্টারের ব্যবস্থাপক মো. সেলিম মিয়া। তিনি বলেন, সকাল ১০টা পর্যন্ত ঢাকা—টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজট না থাকায় তাদের শিডিউলে কোন সমস্যা হয়নি।
কোনাবাড়ি (সালনা) হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় বাস স্টেশন হওয়ায় এখানে সব সময় যানবহনের চাপ থাকে। শুক্রবার থেকে চন্দ্রা মোড়ে যানবাহনের চাপ শুরু হলেও এখন পর্যন্ত এ সড়কে যানজট নেই। যানজট এড়াতে শুক্রবার মধ্যরাতেই এখান থেকে অনেক যাত্রী যাত্রা শুরু করেছেন।
এসজেড/
Leave a reply