ঈদ উৎসবের সময় বাহারি স্বাদের বিভিন্ন খাবারের আয়োজন থাকে বাড়িতে বাড়িতে। আর তাই প্রয়োজন পোলাও চালের। বছরের অন্য সময়ের তুলনায় এই চালের চাহিদাও বেড়ে যায় ঈদ মৌসুমে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এবার দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সরবরাহের কোনো সংকট না থাকলেও রোজার মধ্যে, পোলাও চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। সেমাই, চিনি ও গুড়া দুধের দামেও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা।
সব ধরনের সুগন্ধি চালের দাম বেড়েছে। বাজারে খোলা সুগন্ধি চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা দরে, যা মাস খানেক আগেও ছিল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। প্যাকেটজাত চাল বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকায়। এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ২০ টাকা। ক্রেতারা বলছেন, ব্যবসায়ীরা যে যার মতো বাড়িয়ে নিচ্ছে দাম। খুচরা বিক্রেতারা দাম বৃদ্ধির জন্যে পাইকারদের দুষছেন। বলছেন, সরবরাহ পর্যায়ে বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে দাম।
এদিকে, সেমাইয়ের ঊর্ধ্বমুখী দামে হতাশ ক্রেতারা। বছরের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৮০ টাকায়। লাচ্ছা সেমাই বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ৩৩০ টাকায়।
চিনির ও গুড়ো দুধের বাজারেও অস্থিরতা দেখা দিয়েছ। প্রতি কেজি খোলা চিনির জন্যে গুনতে হচ্ছে ৭৫ থেকে ৭৮ টাকা আর প্যাকেটজাত ৮০ থেকে ৮৫ টাকা। গুড়ো দুধের দাম বেড়েছে কেজিতে ৭০ থেকে ৮০ টাকা।
উৎসবের সময় বাজার স্থিতিশীল রাখতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন ক্রেতারা।
এসজেড/
Leave a reply