গরম বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডা পানীয় পান করার প্রবণতা। ঠান্ডা পানীয় গরমে সাময়িক স্বস্তি দিতে পারলেও অতিরিক্ত ঠান্ডা পানীয় পান করলে দেখা দিতে পারে বেশ কিছু সমস্যা। শুধু প্রচলিত ঠান্ডা পানীয়ই নয়, সোডা জাতীয় পানীয়তেও দেখা দিতে পারে একাধিক সমস্যা। চলুন দেখে নেয়া যাক সেই সমস্যাগুলি-
১। ঠান্ডা পানীয়ের তাৎক্ষণিক বিপদ হচ্ছে গলা বা শ্বাসতন্ত্রের ক্ষতি। আমাদের নাক, গলায় অসংখ্য সরু সরু আঙ্গুলের মতো অংশ বা ‘সিলিয়া’ থাকে। ঠান্ডা পানীয় পান করলে এই সব সিলিয়া নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। বেড়ে যায় টনসিলাইটস, ফ্যারেংজাইটিস, ব্রংকাইটিস বা নিউমোনিয়ার মতো রোগের আশঙ্কা।
২। ঠান্ডা পানীয়তে প্রচুর পরিমাণ চিনি থাকে। ফলে নিয়মিত এই ধরনের পানীয় পান করার ফলে ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
৩। কিছু কিছু ঠান্ডা পানীয়তে থাকে ফসফরিক অ্যাসিড। এই উপাদানটি হাড়ে ক্যালসিয়ামের ঘনত্ব হ্রাস করে, ফলে দুর্বল হয় হাড়।
৪। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানীয় পানের ফলে দেখা দিতে পারে স্থূলতার আশঙ্কা। গবেষণা বলছে, সোডা ও ঠান্ডা পানীয় পান করার ফলে ১.৬ গুণ বৃদ্ধি পায় স্থূলতার আশঙ্কা।
৫। নরম পানীয় বৃদ্ধি করে সংবহনতন্ত্রের রোগ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নরম পানীয় নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করে হৃদরোগের আশঙ্কা।
৬। প্লাস্টিকের বোতল থেকে ঠান্ডা পানীয় পান করলে শরীরে মেশে ‘বিসফেনল এ’ নামক একটি উপাদান। এই উপাদানটি নারীদের সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
৭। নরম পানীয় দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে। ফলে নিয়মিত ঠান্ডা পানীয় পান করলে বাড়ে দাঁতের সমস্যা।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
ইউএইচ/
Leave a reply