সম্প্রতি বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ করে আলোচনায় আসা তিন যাত্রীর একজন ইমরুল কায়েস। তার মা ইয়াসমিন আক্তার নিপা রেলমন্ত্রীর স্ত্রী শাম্মী আক্তার মনির মামাতো বোন। তার ছেলে ইমরুল কায়েসই টিটিই’র বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন।
ইয়াসমিন আক্তার নিপা গণমাধ্যমকে জানায়, ছেলেদের সঙ্গে অসদাচরণ করার কারণে টিটিইকে বদলি করতে তিনিই মন্ত্রীর স্ত্রী শাম্মী আক্তারকে বলেছিলেন। তবে এরপর বদলি না করে বরখাস্ত করা হয়।
ট্রেনে সেদিন তিন যাত্রীর সঙ্গে কী ঘটেছিল, যমুনা নিউজকে তা জানান নিপা। তার দাবি, তিন যাত্রী ঈশ্বরদী থেকে এসি টিকিট কাটেন। তবে রেলমন্ত্রীর আত্মীয় তা জানার পর রেলের গার্ড সম্মান দেখিয়ে কেবিনে সিট খালি থাকায় তাদের বসার ব্যবস্থা করে দেয়। পর বরখাস্তকৃত টিটিই শফিকুল ইসলাম এসে তাদের সঙ্গে উল্টাপাল্টা কথা বলছে। নিপা অবশ্য তিনযাত্রীকে জরিমানা করার প্রসঙ্গটিও স্বীকার করেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৫ মে) রাতে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে ঈশ্বরদী রেল জংশন থেকে বিনা টিকিটে এসি কেবিনে চেপে বসেন তিন যাত্রী। টিকিট না থাকায় তাদের জরিমানা করেছিলেন টিটিই শফিকুল ইসলাম। সেই ৩ যাত্রী নিজেদের রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দেন। টিটিই বিষয়টি পাকশী বিভাগীয় রেলের সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (এসিও) নুরুল আলমের সঙ্গে আলাপ করলে তিনি সর্বনিম্ন ভাড়া নিয়ে টিকিট কাটার পরামর্শ দেন ওই তিন যাত্রীকে। পরে তাদের জরিমানাসহ সুলভ শ্রেণির টিকিট কাটতে হয়।
ওইদিনই বিকেলে ঈশ্বরদীর পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনের নির্দেশে টিটিই শফিকুল ইসলামকে ফোনকলে চাকরি থেকে বরখাস্তের আদেশ জানানো হয়। টিটিই শফিকুল ইসলাম ট্রেনে ডিউটিরত অবস্থায়ই বরখাস্তের আদেশটি ফোনে জানতে পারেন। শুক্রবার (৬ মে) থেকে এ আদেশ কার্যকর করা হয়েছে। সাধারণত, এত দ্রুততম সময়ে সরকারি কর্মচারীকে শাস্তির আওতায় আনার উদাহরণ খুব বেশি দেখা যায় না।
/এমএন
Leave a reply