চলমান অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কার পর্যটন খাত। অস্থিরতার মধ্যে দেশটিতে যাচ্ছেন না পর্যটকরা। যার ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে শ্রীলঙ্কার পর্যটন নির্ভর অর্থনীতিতে। সংকটের মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে বেশির ভাগ রিসোর্ট ও বিনোদন কেন্দ্র। পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, সবকিছুর দাম আকাশচুম্বী তাই পর্যটকের সংখ্যা শূন্যের কোঠায়।
করোনা মহামারির প্রভাব কাটিয়ে মাত্রই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিলে শ্রীলঙ্কার পর্যটন খাত। কিছুদিন আগেও রমরমা ছিল এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। অথচ এখন সুনসান নীরবতা।
দ্বীপদেশটির বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলো হয়ে পড়েছে প্রায় জনশূন্য। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দিনের বেশির ভাগ সময়ই থাকে না বিদ্যুৎ, তাই পর্যটকও আসে না। এছাড়া খরচ যোগাতে না পেরে বাধ্য হয়ে দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছেন তারা।
একটি রিসোর্টের ম্যানেজার মনোজ ডি সিলভা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, নৌকাগুলো চালাতে তেলের প্রয়োজন হয়। কিন্তু তেলের যে দাম পোষাতে পারবো না। কর্মীদের বেতনও দিতে পারছিলাম না। বাধ্য হয়ে রেস্তোরাঁটি বন্ধ করে দিয়েছি। জানি না কী আমাদের ভবিষ্যৎ?
স্বাভাবিক সময়ে প্রতি মাসে কয়েক লাখ বিদেশি পর্যটক পাড়ি জমাতো শ্রীলঙ্কায়। নানা সংকটের কারণে সেই সংখ্যা এখন নেমে এসেছে শ’র ঘরে। আর্থিক সংকটে দেশীয় ভ্রমণপিপাসুরাও বেড়াতে বের হচ্ছেন না।
জার্মান পর্যটক স্টিফেন উইলার জানান, এখানে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সমস্যা পাইনি। তবে জিনিসপত্রের চরম সংকট রয়েছে। তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হলে হয়তো সব আগের মতো চলবে।
উল্লেখ্য, লঙ্কানদের আয়ের অন্যতম উৎস এই পর্যটন খাত। তথ্য বলছে, করোনার আগে ২০১৮ সালেই ২৫ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করে শ্রীলঙ্কায়।
ইউএইচ/
Leave a reply