কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বাঙালি ও বাংলাকে নতুন পরিচয়ে পরিচিত করেন বিশ্ব দরবারে। একাধারে কবি, গল্পকার, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, চিত্রকর, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, দার্শনিক; গীতিকার। বাংলা সাহিত্যের সর্বত্র তার অবাধ বিচরণ।
তার কবিতা, গান, ছোট গল্প, উপন্যাসে প্রাণ-ঐশ্বর্যে পূর্ণতা লাভ করেছে বাংলার রঙ-রূপ-গন্ধ। ধরা দিয়েছে বাঙালির সূক্ষ্মতম আবেগ, জীবনবোধ, প্রার্থনা ও প্রত্যয়। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে প্রভাব তার সাহিত্যকর্মের। ১২শ’ ৬৮ বঙ্গাব্দের এই দিনে জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে জন্ম নেন কবি। আজ পঁচিশে বৈশাখ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১ শ’ ৬১তম জন্মবার্ষিকী।
বৈশাখে ঈশান কোণে যখন মেঘের ঘনঘটা, ঝড়ো বাতাসে প্রকৃতির রুদ্রমূর্তি, তখনই যেন প্রবল শক্তিমত্তা নিয়ে ধরণীতে কবির আগমণ। অশনি সংকেতকে শান্তির বার্তায় পরিণত করেছেন কী অবলীলায়! রাশি রাশি ভারা ভারা সাহিত্যের ধান বোঝাই করেছেন সোনার তরীতে।
অনিশ্চয়তার মেঘ সরিয়ে রবীন্দ্রনাথ আলোর উৎস। তার লেখনিতে রোদ ঝলমলে দিনের আভাস বাংলা সাহিত্যের অলিগলিতে। মাটিতে মিশে থাকা পতঙ্গ, চঞ্চল শৈশব, ২ বিঘার জমির কৃষক কিংবা প্রেমময় জীবন; কিছুই নজর এড়ায়নি বিশ্বকবির।
বাংলা সাহিত্যের রবি হয়েই আলো দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। মহাপ্রাণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপস্থিতি সবখানে, সব মুহূর্তে।
/এমএন
Leave a reply