স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, টাঙ্গাইল:
প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে অপহরণের পর একাধিকবার ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি মো. ফারুক শেখ (১৯) ও তার সহযোগী বিশাল হোসেনকে (২০) গ্রেফতার করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামি ফারুক উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের বানিয়াবাড়ি গ্রামের নাজমুল প্রধানের ছেলে ও তার সহযোগী বিলাল সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার হোসেরপুর উত্তরপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে।
রোববার (৮ মে) ভোরে ওই দুইজনকে সিরাজগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে, ধর্ষণের ঘটনায় শনিবার বিকালে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ভূঞাপুর থানায় ধর্ষণ ও অপহরণের মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের পর অভিযান চালায় পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ফারুক ওই স্কুলছাত্রীকে স্কুলে আসা-যাওয়ার সময়সহ বিভিন্ন সময়ে প্রেমের প্রস্তাব ও রাস্তা-ঘাটে উক্ত্যক্ত করতো। এর প্রতিবাদ করলে তুলে নেওয়ার হুমকি দিতো। গত ৫ মে বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলছাত্রী একা তার দাদার বাড়ি যাচ্ছিল। এ সময় ফারুক তার দলবল নিয়ে অপহরণ করে। এরপর নৌকাযোগে প্রথমে সিরাজগঞ্জে তার এক বন্ধুর বাসায় নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে ফারুক। তারপর সেখান থেকে ফারুক তার খালার বাসায় নিয়ে ফের ধর্ষণের পর শারীরিক নির্যাতন করে। পরে অভিযুক্ত ফারুক তার এক সহযোগী অপহরণকারীর বাড়িতে সন্ধ্যার দিকে স্কুলছাত্রীকে নিয়ে আসেন।
এরপর এ বিষয়টি ভুক্তভোগীর বাবা জানতে পেরে ওইদিন রাতেই ফারুকের বন্ধুর বাড়ি থেকে আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় মাতব্বরদের সঙ্গে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেন।
ভূঞাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফাহিম ফয়সাল সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওই স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের পর অভিযান চালিয়ে ২০ ঘণ্টা পর প্রধান আসামি ফারুকসহ তার সহযোগী বিলালকে রোববার ভোরে সিরাজগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারের পর সকালে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত বাকি সহযোগীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। অপরদিকে, মামলার পর স্কুলছাত্রীটিকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জেডআই/
Leave a reply