কোভিড-১৯ এর প্রভাব এবং বহির্বিশ্বে যুদ্ধাবস্থার কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির প্রেক্ষিতে দেশের মুদ্রা ও ঋণ ব্যবস্থা সুসংহত রাখার লক্ষ্যে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতন ঠেকাতে বিলাসবহুল পণ্য আমদানিতে রাশ টানার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এখন থেকে গাড়ি, হোম অ্যাপ্লায়েন্সের মতো পণ্য আমদানিতে ন্যূনতম আমদানি ঋণপত্র বা এলসি মার্জিন হবে ৭৫ শতাংশ। অন্যদিকে, শিশুখাদ্য, জ্বালানিসহ অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্য, জীবনরক্ষাকারী ওষুধ, স্থানীয় ও রফতানিমুখী শিল্পসহ কিছু ক্ষেত্রে ছাড়া এলসি মার্জিন নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ শতাংশ।
গত ১১ এপ্রিল বিলাস পণ্যে ২৫ শতাংশ মার্জিন নির্ধারণ করা হয়েছিল। মঙ্গলবার (১০ মে) নতুন এ নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন এ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গত ১১ এপ্রিলের মার্জিন নির্ধারণ সংক্রান্ত নির্দেশনা বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নতুন হারে এলসি মার্জিন নির্ধারণ হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মোটর কার তথা সেডান কার, এসইউভি, হোম অ্যাপ্লায়েন্স হিসেবে ব্যবহারিত ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর আমদানি ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ নগদ মার্জিন রাখতে হবে।
প্রজ্ঞাপনটিতে আরও বলা হয়, শিশুখাদ্য, অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্য, জ্বালানি, স্বাস্থ্য অধিদফতর স্বীকৃত জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও সরঞ্জামসহ চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে ব্যবহারিত দ্রব্য, উৎপাদনমুখী স্থানীয় শিল্প ও রফতানিমুখী শিল্পের জন্য সরাসরি আমদানি করা মূলধনী যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল, কৃষি খাত সংশ্লিষ্ট পণ্য এবং সরকারি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রকল্পে ব্যবহারের জন্য আমদানি করা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া অন্য সব ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ এলসি মার্জিন সংরক্ষণ করতে হবে।
/এম ই
Leave a reply