মস্তিষ্কের জটিল রোগে আক্রান্ত শি জিনপিং, এই রোগে হতে পারে মৃত্যুও

|

ছবি: সংগৃহীত

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে অনেক দিন ধরেই বিভিন্ন জল্পনা-কল্পনা চলে আসছে। দেশটিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের পর থেকে বেইজিংয়ের শীতকালীন অলিম্পিক শুরু হওয়া পর্যন্ত লম্বা সময় ধরে কোনো বিদেশি নেতা বা প্রতিনিধির সাথে সাক্ষাৎ বন্ধ রেখেছিলেন শি। এরপর থেকেই তার জটিল কোনো রোগ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হতে থাকে। তবে এবার জানা গেলো মস্তিষ্কের জটিল একটি রোগে আক্রান্ত এই নেতা, যার নাম ‘সেরিব্রাল অ্যানুরিজম’ বা ‘ব্রেন অ্যানুরিজম’। খবর এনডিটিভির।

শি জিনপিংয়ের এই রোগের বিষয়টি এরই মধ্যে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক একাধিক সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বর্তমানে দেশটিতে তেল ও গ্যাসের ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধি এবং বিভিন্ন পণ্য সরবরাহের প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ধীরে ধীরে দানা বাধছে জন অসন্তোষ। সেই সাথে চীনা সরকারের কঠোর ‘শুণ্য করোনাভাইরাস পলিসি’ এর জন্যও সমালোচিত হচ্ছে শি জিনপিংয়ের দিল। চীনে চলমান এমন কঠিন সময়েই শি জিনপিংয়ের এই জটিল রোগের কথা সামনে এলো। জানা গেছে, এই রোগের কারণে গত বছর বেশ কিছুদিনের জন্য হাসপাতালে ভর্তিও ছিলেন এই নেতা।

শি জিনপিং এর এই রোগের বিষয়ে খুব কম মানুষই জানেন। এটি বেশ বিরল রোগ হিসেবেও পরিচিত।কী এই ব্রেন অ্যানুরিজম?

জনস হপকিন্স মেডিসিন সেন্টার বলছে, এই রোগে মস্তিষ্কের কোনো রক্তনালি বেলুনের মতো ফুলে ওঠে। এই বেলুনের মতো অংশটি ফেটে গেলে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের আশঙ্কা তৈরি হয়, যার ফলে হতে পারে স্ট্রোকও। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই রক্তক্ষরণ ঘটে মস্তিষ্ক ও মস্তিষ্ককে আবৃত করে রাখা কলার মধ্যবর্তী অঞ্চলে। এই ধরনের রক্তক্ষরণকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘সাব অ্যারাকনয়েড হেমারেজ’।

এক চোখের পেছনের দিকে ব্যথা, প্রসারিত চোখের মণি, দৃষ্টির সমস্যা কিংবা মুখের এক দিক অসাড় লাগা এই রোগের লক্ষণ হতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেলুনের মতো অংশটি না ফাটলে এই রোগে কোনো রকম উপসর্গ দেখা দিতে নাও পারে। কিন্তু যদি বেলুনের মতো অংশটি ফেটে যায়, তবে প্রাণহানী হওয়ার ঝুঁকিও থাকে।

তবে কেনো হয় এই রোগ?

নির্দিষ্টভাবে তেমন কোনো কারণ না থাকলেও বার্ধক্য, উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস এই রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। পাশাপাশি, জন্মের সময় নবজাতকের বিশেষ কিছু রোগ থাকলে ভবিষ্যতে এই রোগের আশঙ্কা থেকে যায়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পুরুষদের তুলনায় নারীদের এই রোগের ঝুঁকি বেশি।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply