বলিউডে এখন দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির প্রভাব স্পষ্ট। এর দৌলতে পরিচালক এস এস রাজমৌলি এখন বেশ জনপ্রিয়। বলা হয়ে থাকে, রাজমৌলির ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়া মানেই ব্লকবাস্টার এবং শতকোটির ব্যবসা। তবে এবারে এক অদ্ভুত গুঞ্জন ও কাকতালীয় খবর ঘুরে বেড়াচ্ছে বলি টাউনে। বলা হচ্ছে, রাজমৌলির ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়া মানেই দুর্ভাগ্য ঢেকে আনা, রাজমৌলির ছবি নাকি ‘অপয়া’!
আসলে পরিচালক রাজমৌলির ছবির ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, এই পরিচালকের পরিচালনায় যেসব অভিনেতা অভিনয় করেছেন তাদের প্রথম সেই ছবি ব্লকবাস্টার হয়, তবে ঠিক তার পরের ছবিটি হয় একেবারে ফ্লপ। ‘বাহুবলী’র হাত ধরে দক্ষিণের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন প্রভাস। তার ‘বাহুবলী’ ছবি ভারতের সবোর্চ্চ আয়কৃত চলচ্চিত্রের রেকর্ড ধরে রেখেছিল অনেক দিন। অথচ সেই প্রভাসেরই পরের ছবি ‘সাহো’ তেমন সুবিধা করতে পারেনি বক্স অফিসে।
এদিকে, ‘আরআরআর’ এর আকাশছোঁয়া সাফল্যের একমাসের মধ্যেই মুক্তি পায় রামচরণের পরের ছবি ‘আচার্য’। কিন্তু ‘আরআরআর’-এর মতো ১০০০ কোটির বাণিজ্য তো দূরের কথা, ১০০ কোটির অঙ্কও ছুঁতে পারেনি ছবিটি। এর আগেও রাজমৌলির ‘মগধিরা’ ছবিতে কাজ করেন রামচরণ। তার ঠিক পরের ছবি ‘অরেঞ্জ’ মুখ থুবড়ে পড়ে বক্স অফিসে।
একই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন বলিউডের অভিনেতা অজয় দেবগণও। রাজমৌলীর ‘আরআরআর’ এ একটি ছোট চরিত্রে ছিলেন অভিনেতা। এ দিকে তার পরের হিন্দি ছবি ‘রানওয়ে ৩৪’ ছিল রীতিমতো ফ্লপ।
এসব ঘটনার পর বলিউডে রাজামৌলির ছবিকে ‘অপয়া’ হিসেবে আখ্যা দিচ্ছেন কেউ কেউ। তবে এসব গুঞ্জনকে পেছনে ফেলে রাজমৌলির পরবর্তি ছবির জন্য অপেক্ষা করছে দর্শক।
এসজেড/
Leave a reply