বাজারে নতুন ধানের আগমনেও প্রভাব নেই চালের দরে

|

নতুন ধান আসার খবরেও চালের বাজার স্বাভাবিক হচ্ছে না। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম ওঠানামা করেছে কয়েক দফা। অথচ এখন বোরো ধানের জন্য গুদাম খালি করার কথা মিলারদের। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মিলের পাশাপাশি এখন ধান মজুদ করছে বড় কোম্পানিও। তাই দর কাঙ্ক্ষিত হারে কমছে না। এ অবস্থায় তেলের মতো চালের গুদামেও প্রশাসনের অভিযান চান ক্রেতারা।

মাসের প্রথম ১৫ দিন মানেই চালের ব্যবসা রমরমা। বেতন পাওয়ার সুবাদে এই সময়ে সংসারের কেনাকাটা সারেন অনেক মধ্যবিত্ত। তাই যোগান নিশ্চিতে হিমশিম খান ব্যবসায়ীরা। দামও কিছুটা বাড়ে। তবে এবার বাস্তবতা ভিন্ন। নতুন ধান আসার খবরে সরগরম বাজার। পুরোনো চাল বিক্রি করতে মরিয়া প্রায় সব ব্যবসায়ী। কিন্তু দামে তার প্রভাব পড়ছে খুব কমই।

শুক্রবার (১৩ মে) ছুটির দিনে কারওয়ানবাজারে মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৫ টাকা দরে। আটাশ চালের কেজি ৪৫ টাকার আশপাশে। হাত দেয়ার উপায় নেই নাজিরশাইলে। ঈদের আগে থেকেই চড়া বাসমতি ও পোলাও চালের দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিল থেকে বাজারে চাল ছাড়ার খবর আসলেও সে অনুযায়ী সরবরাহ কম। বেড়ে গেছে পরিবহণ ব্যয়ও। তাই ক্রেতার ভোগান্তি কাটেনি। দাম নিয়ে বিক্রেতার সাথে তর্ক থামছেই না। অভিযোগ, নতুন ধান ওঠার সময় হলেও বাজারের আচরণ স্বাভাবিক না। অন্যান্য নিত্যপণ্যের চড়া দরের প্রভাব পড়ছে চালেও।

এদিকে, বোরোর আবাদ ভালো হলেও ঝড় বৃষ্টির দাপটে দুশ্চিন্তা বেড়েছে। অনেকেই কেটে ফেলেছেন অপরিপক্ক ধান। সে জন্য শ্রমিক চাইছে বাড়তি টাকা। ছেড়ে কথা বলছে না সার ও বীজের দাম। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বোরো ধান সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করেছে প্রশাসন।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply