এলাকার দানশীল প্রশান্তই দেশের আলোচিত প্রতারক পিকে হালদার

|

পিরোজপুর প্রতিনিধি:

প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারকে দরিদ্র পরিবারের মেধাবী সন্তান হিসেবে চিনতো জন্মস্থানের মানুষ। পরে পরিচিত পায় একজন বড় ব্যবসায়ী ও দানশীল মানুষ হিসেবে। দুদকের মামলার পরে মানুষ তার প্রতারণার বিষয় জানতে পারে। সবশেষ শনিবার ভারতে দুই ভাইসহ গ্রেফতার হওয়ার পর স্থানীয় মানুষের সামনে খুলে যায় তার আসল চেহারা। তাদের মেধাবী ও দানশীল প্রশান্ত কুমারই দেশের আলোচিত প্রতারক ও বিপুল টাকা আত্মসাৎকারী পিকে হালদার।

আলোচিত এই পিকে হালদারের বাবা মৃত প্রণবেন্দু হালদার পেশায় ছিলেন দীঘিরজান বাজারের একজন দর্জি। মা লীলাবতি হালদার ছিলেন স্কুলশিক্ষক। পিকে হালদার দীঘিরজান মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও পার্শ্ববর্তী বাগেরহাটের সরকারি পিসি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। এরপর বুয়েটের মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি নিয়ে বেক্সিমকো গ্রুপের জুট ফ্যাক্টরিতে চাকরি শুরু করেন।

১৫-১৬ বছর আগে ভিন্ন ধর্মের এক নারীকে বিয়ে করার পর থেকে এলাকাছাড়া ছিলেন তিনি। তার এই অর্থপাচারের কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার পর শিক্ষিকা মা আরেক ছেলে প্রীতিশ হালদারের বাড়ি ভারতের অশোকনগরে চলে গেছেন। পিকে হালদারের আরেক ভাই প্রাণেশ হালদারও কানাডায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।

দীঘিরজান গ্রামে তার প্রতিবেশী কলেজ শিক্ষক অধ্যক্ষ দীপ্তেন মজুমদার জানান, প্রশান্ত হালদারকে একজন মেধাবী ছাত্র বলে এলাকাবাসী চিনতো। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার সঙ্গে তার তেমন কোনো যোগাযোগ ছিল না। মানুষ জানতো প্রকৌশলী পেশায় তিনি অনেক বড় চাকরি করেন।

অঙ্গন হালদার নামে নিজ গ্রামের জনৈক ব্যক্তি ম্যানেজার হিসেবে পিকে হালদারের ব্যবসা-বাণিজ্য দেখাশোনা করেন। দীঘিরজান গ্রামে মা লীলাবতীর নামে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন পিকে হালদার সেটিরও তত্ত্বাবধায়ক অঙ্গন হালদার। বর্তমানে পিকে হালদারের গ্রামের বাড়িতে পুরানো একটি কাঠের টিনশেড ঘর আছে। যেখানে তার চাচাতো ভাই দীপেন্দ্র নাথ হালদার বসবাস ও দেখাশুনা করেন।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply