দুটি কুকুর ও ১৪টি কুকুরছানাকে জীবন্ত মাটি চাপা দেয়ায় এক নিরাপত্তাকর্মীকে ৬ মাসের জেল দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজেস্ট্রেট আদালতের বিচারক আহসান হাবিব। গত বছরের অক্টোবরে এই কুকুরগুলোকে মাটি চাপা দেয়া হয়। আর এটাই দেশে প্রাণি নির্যাতন আইনের মামলায় ২য় রায়।
দোষী মো: সিদ্দিক (৪৫) কে আরও ২শত টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৭ দিনের জেল দিয়েছেন আদালত। এই রায় গ্রেফতারের পর থেকেই কার্যকর করা হবে।
জানা যায়, মো: সিদ্দিক রামপুরার বাগিচারটেক ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর নিরাপত্তাকর্মী। সিদ্দিক গত বছরের (২০১৭) ২৫ অক্টোবর দুটি কুকুর ও ১৪ বাচ্চাকে জীবন্ত মাটি চাপা দেয়। সিদ্দিক প্রথমে দুইটি মা কুকুরকে পেটায়, চোখ উপড়ে ফেলে। এরপর তাদের চোখ না ফোঁটা ১৪টি বাচ্চাকে বস্তাবন্দী করে জীবন্তই পুঁতে ফেলে বাগিচারটেক জামে মসজিদের পাশে একটি ফাঁকা জায়গায়।
এ খবর জানার পর পিপল ফর অ্যানিমল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রাকিবুল হক ঘটনাস্থলে যান, কুকুরগুলির মৃতদেহ উদ্ধার করেন। পরে তিনি ১১ নভেম্বর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে প্রাণি নির্যাতন আইন ১৯২০ আলোকে রামপুরা থানায় মামলা করেন। এরপর পুলিশ তদন্ত শেষে ৩০ নভেম্বর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। এরপর আজ আদালত তাকে ৬ মাসের জেলের আদেশ দেন।
এরআগে ২০১৫ সালে রামপুরায় এক কুকুরে পিটানোর কারণে প্রথম প্রাণি নির্যাতন আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি এখনও চলমান রয়েছে। তবে গত বছরের জুলাই মাসে ঢাকা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আরা সাভারের এক ব্যক্তিকে প্রাণি নির্যাতন আইনের এক মামলায় ৩শ টাকা জরিমানা করেছিলেন।
Leave a reply