হাজার কোটি টাকা পাচারের দায়ে অভিযুক্ত পি কে হালদার ও তার ৪ সহযোগীর রিমান্ডের দ্বিতীয় দিনেও চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। তবে, টানা জেরার মুখে শেষ পর্যন্ত আর কোনো কৌশল টেকেনি। কান্নায় ভেঙে পড়েন পি কে। জানান, তাকে ভুল পথে পরিচালিত করা হয়েছে।
ভারতের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডি (দ্য ডাইরেকটরেট অব এনফোর্সমেন্ট) এর এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কলকাতার সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট অফিস (সিজিও) কমপ্লেক্সে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
রোববার (১৫ মে) ম্যারাথন জেরা করা হয় হাজার কোটি টাকা পাচারের দায়ে অভিযুক্ত পি কে হালদারকে। মাত্র ২ ঘণ্টার বিরতি দিয়ে সারাদিন চলে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ। তার জবানবন্দিতে সামনে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের কয়েকজন জনপ্রতিনিধি এবং শাসক দলের নেতার নামও। তিনি স্বীকার করেন, প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এবং তাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার মাধ্যমেই বাংলাদেশ সীমান্তের এতো কাছে গা ঢাকা দিতে পেরেছিলেন।
এর আগে, শনিবার (১৪ মে) রাতে অনলাইনে ব্যাঙ্কশাল আদালত বরাবর ৩ দিনের রিমান্ড আবেদন করে ইডি। যা, মামলার গুরুত্ব বুঝে মঞ্জুর করেন সিটি সিভিল কোর্ট।
জানা গেছে, আগামী মঙ্গলবার (১৭ মে) পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের আদালতে তোলা হবে। সেদিন মামলা হস্তান্তর করা হবে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা, সিবিআইয়ের কাছে।
/এসএইচ
Leave a reply