রাজশাহী ব্যুরো:
রাজশাহীতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ঢল শুরু হয় সয়াবিন তেল থেকে। এরপর একে একে বাড়তে থাকে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম। ঊর্ধ্বমূল্যের এই মিছিলে এখন যোগ দিয়েছে চাল-আটাসহ প্রায় সব প্রধান ভোগ্যপণ্য। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে কোনো কোনো পণ্যের দাম শতভাগ বৃদ্ধিও দেখেছে জেলার বাজার। বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ নানা সঙ্কটের পাশাপাশি এক পণ্যের উৎপাদনে আরেক পণ্যের ব্যবহার প্রভাব রাখছে বাজারমূল্যের গ্রাফে। নতুন বাজেটে তাই নিত্যপণ্যের ক্ষেত্রে বিশেষ মনোযোগের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।
দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে আনা হয় মুগ। এরপর প্রক্রিয়াজাত করতে হয় কয়েক স্তরে। প্রতিটি স্তরেই এর সঙ্গে মেশাতে হয় সয়াবিন কিংবা পাম তেল। এরপরই মেশিনে ভেঙে বের করা হয় মুগডাল। উদ্ভিজ্জ আমিষের সব থেকে বড় উৎস এই ডাল জাতীয় পণ্য। এর উৎপাদনেই সহযোগী হিসেবে কাজ করে তৈলবীজ জাতীয় পণ্য। ফলে এর যেকোনো একটির দাম বৃদ্ধি প্রভাব ফেলে সবগুলো পণ্যের উৎপাদন ব্যয়ে।
চালের পাশাপাশি গত কয়েকদিনে রাজশাহীর বাজারে লাফিয়ে বেড়েছে আটার দাম। যার প্রভাব পড়েছে বেকারি পণ্যের ওপর। আমদানিকারকদের দাবি, ডলারের দাম হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় তৈরি হয়েছে এই পরিস্থিতি।
তবে পলিসি মেকিংয়ের জায়গায় যথেষ্ট অভিজ্ঞ ও দূরদর্শন সম্পন্ন মানুষের অভাব আছে বলে মনে করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ইলিয়াছ হোসেন। তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পলিসি মেকারদের বিকল্প উৎস আগে থেকেই খোঁজা উচিত ছিল। আমদানি ব্যয়কে রফতানি ও রেমিট্যান্স আয়ের সমান জায়গায় নিয়ে আসতে হবে। সেই সাথে স্থানীয় উৎস ভিত্তিক যে অর্থনৈতিক খাতগুলো আছে, সেগুলোকে প্রণোদনা দেয়ার পরামর্শও দেন তিনি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজার ব্যবস্থাপনা উন্নত করার পাশাপাশি মুদ্রানীতিকে সময়োপযোগী করা জরুরি। এর সঙ্গে নতুন বাজেটে সঙ্কট নিরসনে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।
বিদ্যমান বাজার পরিস্থিতির চিত্র আছে সরকারি হিসাবেও। পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব বলছে, গত তিন মাস ধরে দেশে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের উপরে আছে।
এসজেড/
Leave a reply