কামাল হোসাইন, নেত্রকোণা
শুক্রবার সকালের কালবৈশাখী ঝড়ে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকে নেত্রকোণা শহরে নেই বিদ্যুৎ পানির ব্যবস্থা। সমস্ত লাইন ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পানির জন্য হাহাকার পড়ে গেছে শহর জুড়ে।
দু’দিন ধরে গোসল করতে পারছে না শহরে বসবাসরত মানুষ। মলমূত্র ত্যাগের পর পানি মিলছে না কারো কারো। পানি সংগ্রহের জন্য ছুটতে হচ্ছে সংকটগ্রস্ত মানুষের। শহরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত মগড়া নদীর পানি দূষণের কারণে ব্যবহার অযোগ্য। একই অবস্থা পুকুরগুলোরও। ফলে গোটা শহরে যে কয়েকটি টিওবওয়েল চালু আছে- সেগুলোতে খাবার পানি সংগ্রহের জন্য লম্বা লাইন ধরতে দেখা গেছে। বোতলজাত পানি কেনার হিড়িক পড়েছে। তাও সব দোকানে মিলছে না। পাঁচ থেকে দশ টাকা বেশি দিয়ে অনেকেই কিনছেন বোতলজাত পানি।
কেউ কেউ জেনারেটর ভাড়া করে এনে বাসার পানির ট্যাংক ভরছেন। ৫শ লিটারের একটি পানির ট্যাংক ভরতে হচ্ছে ৫শ টাকার বিনিময়ে। তা-ও জেনারেটরের সিডিউলে মিলছে না। এদিকে বাজারে মোমবাতির স্টক প্রায় শেষ। ১০ টাকার মোমবাতি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। চার্জ দিতে না পারায় শহরে অটোরিক্সা ও ব্যাটারিচালিত রিক্সার চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে মোবাইল ফোন। বিদ্যুৎ লাইন কখন চালু করা সম্ভব হবে- খোদ বিদ্যুৎ বিভাগও তা বলতে পারছে না।
জেলা পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী আফজাল হোসেন জানান, আজ সন্ধ্যার মধ্যে শহরের কোনো কোনো এলাকায় বিদ্যুত সংযোগ চালুর আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত শহরের বিদ্যুতের লাইন মেরামত করা হয়নি।
নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম জানান, আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করছি। সারা জেলায় কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
Leave a reply