স্টাফ রিপোর্টার, পটুয়াখালী:
পটুয়াখালীর দুমকীতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ইতি বেগম নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। বরিশাল থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে শুক্রবার (২৭ মে) সকাল সাতটার দিকে মারা যায় ইতি। এ ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে তার সাবেক স্বামী মো. জলিলের বিরুদ্ধে। নিহত ইতি পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার পাঙ্গাশিয়া গ্রামের আবদুল মান্নান খানের মেয়ে।
নিহত গৃহবধূর বড় ভাই মো. ফারুক খান জানান, ইতি ঢাকার একটি গার্মেন্টস কারখানায় চাকরি করতো। প্রায় ৭ বছর আগে কুষ্টিয়ার মো. জলিলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়ি পাঙ্গাশিয়ায় আসেন ইতি। প্রথমে ভালোই চলছিল তাদের সংসার। এরমধ্যে তাদের সংসারে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। বছর দুই আগে থেকে জলিল যৌতুকের দাবিতে ইতিকে মারধর শুরু করে। স্বামীর অত্যাচার সইতে না পেরে ইতি এক সপ্তাহ আগে জলিলকে তালাক দেয়।
ইতির ভাই আরও জানান, তালাকের কাগজপত্র হাতে পেয়ে মোবাইল ফোনে ইতিকে পুড়িয়ে হত্যার হুমকি দেয় জলিল। বৃহস্পতিবার (২৬ মে) রাতে জলিল ঢাকা থেকে দুমকীতে আসে। ওই দিন একটি ঘরে ঘুমিয়ে ছিল ইতি। অন্যঘরে তার বাবা-মা ও ছেলে সন্তান। রাত পৌনে ১২টার দিকে ইতির ঘরে আগুন ধরে যায়। ধোঁয়ার গন্ধ পেয়ে ঘরে ছুটে যান ইতির বাবা-মা। ইতির ভাই ফারুকের দাবি, ঘটনাস্থলে পৌঁছানো মাত্র জলিলকে পালিয়ে যেতে দেখে তার বাবা-মা।
পরে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ইতিকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে রাত ৩টার দিকে ইতিকে বরিশালে পাঠানোর পরামর্শ দেয়া হয়। শুক্রবার বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে সকাল ৭টার দিকেই ইতি মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহত ইতির পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান দুমকী থানার ওসি আবদুস সালাম। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এসজেড/
Leave a reply