প্রস্তুতি শেষ না হওয়ায় পেছালো ৩০ মে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বাংলাদেশ-ভারত যৌথ পরামর্শক কমিটির সভা। ১৮-১৯ জুন এই সভার পরবর্তী তারিখ নির্ধারিত হলেও তার আগেই যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক চায় ঢাকা। এর পাশাপাশি রাশিয়া থেকে গম ও জ্বালানি তেল আমদানির বিষয়ে ভারতের কৌশল বুঝতে চায় বাংলাদেশ। নদী সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর এসব কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এ কে আব্দুল মোমেন।
আসামে চলমান নদী সম্মেলন থেকেই সরাসরি দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের। শুক্রবার (২৭ মে) রাতে মোমেন-জয়শঙ্করের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে পাল্টে যায় সে পরিকল্পনা। বিশ দিন পিছিয়ে যায় ঢাকা-দিল্লি কূটনৈতিক পর্যায়ের সবচেয়ে বড় বৈঠক যৌথ পরামর্শক কমিটির সভা। নেপথ্যে আরও প্রস্তুতির কথাই ভেবেছে দু’পক্ষ। নতুন তারিখের আগেই তেরো বছর ঝুলে থাকা যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকের তাগিদ দিয়েছে ঢাকা।
ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আলোচনায় প্রাধান্য পেয়েছে বিশ্ব পরিস্থিতি বিশেষ করে জ্বালানি ও খাদ্য সঙ্কট নিরসনের কৌশল। সেক্ষেত্রে রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানির যে প্রস্তাব পেয়েছে ঢাকা, তা বাস্তবায়নে ভারতের অভিজ্ঞতা বুঝতে চায় বাংলাদেশ। ড. মোমেন বলেন, ভারত থেকে আমরা গম আনি এবং তারা আমাদের গম দেবে। ওদের ভয় ছিল কেউ কিনে নিয়ে থার্ড পার্টির কাছে বিক্রি করে দেয় কিনা। এবার তা নেই। আমরা সরকারের কাছ থেকেও কিনবো আবার বেসরকারিভাবে বিক্রি করলে সেটাও নেবো।
পি কে হালদারকে ফেরাতে ভারত সরকার আন্তরিক হলেও আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সময় লাগবে; ডক্টর মোমেনকে তা জানিয়েছেন জয়শঙ্কর। আর তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে কেন্দ্রীয় আর রাজ্য সরকারের টানাপোড়েনের সেই কথা এবারও শুনতে হয়েছে ঢাকাকে। দিল্লি না যাওয়ায় আগামী রোববার (২৯ মে) ঢাকা ফিরছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: এ অঞ্চলের যোগাযোগের কেন্দ্রস্থল হতে চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
/এম ই
Leave a reply