যুক্তরাষ্ট্রে হরহামেশাই ঘটছে এলোপাতাড়ি গুলির ঘটনা

|

চলতি বছরের প্রথম ১৪৫ দিনেই যুক্তরাষ্ট্রে ম্যাস শুটিংয়ের মতো ভয়াবহ হামলা হয়েছে ২১৪টি। এতে ২ শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হলেও আহত হাজারের বেশি। অ্যামেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণা বলছে, বন্দুক হামলায় আহতদের ৪৪ শতাংশই কোনো না কোনো দিক থেকে শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়েন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও ১৩ শতাংশ মানুষের প্রয়োজন হয় দীর্ঘমেয়াদি সেবার। প্রাণে বাঁচলেও বোঝা হয়ে থাকতে হয় স্বজনদের কাছে।

টেক্সাসের স্কুলে গুলির মতো বড় ঘটনা আলোচনায় এলেও যুক্তরাষ্ট্রে হরহামেশাই ঘটছে এলোপাতাড়ি গুলির ঘটনা। প্রাণহানির পাশাপাশি এসব ঘটনায় পঙ্গু হয়ে যাচ্ছেন হাজারও মানুষ। পরিসংখ্যান বলছে, ম্যাস শুটিংয়ে আহতদের ৪৪ শতাংশই শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়েন। ১৩ শতাংশ ভুক্তভোগীর প্রয়োজন হয় আজীবন চিকিৎসার। কেবল শারীরিকভাবেই নয়, মানসিক এবং আর্থিকভাবেও চরম ক্ষতির শিকার অনেক পরিবার।

মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিডিসির হিসেবে বন্দুক হামলায় আহত প্রত্যেকের পেছনে গড়ে খরচ হয় ৬৫ হাজার মার্কিন ডলার। ভুক্তভোগীরা চান, ভয়াবহ শারীরিক-মানসিক এবং আর্থিক বিপর্যয় ডেকে আনা গুলির ঘটনা বন্ধ হোক যে কোনো উপায়ে। এজন্য অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন কঠোর করার দাবি তুলছেন প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তিরাও।

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেন, আমার মনে হয় এমন ন্যাক্কারজনক হামলার বিরুদ্ধে গোটা দেশবাসী এক হয়ে লড়াই করতে প্রস্তুত আছে। কিন্তু তার আগে কংগ্রসে আইন পাস করা জরুরি। আমার প্রশ্ন, কেন যে কেউ সহজেই এই ধরনের মারণাস্ত্র কিনতে পারবে? মুহূর্তেই বহু মানুষ মারা যাবে এমন অস্ত্র তো যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে থাকার কথা না। এটা কখনও আত্মরক্ষার হাতিয়ার হতে পারে না।

তথ্য বলছে, ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র বিক্রি হয়েছে ১ কোটি ৮৮ লাখের বেশি। দেশটিতে বৈধ অস্ত্রের মালিক ৮ কোটি ১৪ লাখ মার্কিনি। সব মিলিয়ে দেশটির বেসামরিক নাগরিকদের কাছেই রয়েছে ৩৯ কোটি আগ্নেয়াস্ত্র।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply