ঘেরের মাছ মাত্র বিক্রির উপযোগী হয়েছিল। কিন্তু বিক্রি আর করা হলো না। রাতারাতি বানের পানি ভাসিয়ে নিয়ে গেছে সব মাছ। সুনামগঞ্জ জেলায় ঘুরে দেখা গেছে, হঠাৎ বন্যায় একটি ঘেরের মাছও রক্ষা করতে পারেনি চাষীরা। ফলে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবেন সেই চিন্তায় দিশেহারা সবাই।
সোহেল রানা সুনামগঞ্জ জেলার সেরা মৎস্য খামারি। তাই এ বছর আরও বেশি টাকা লগ্নি করে ১০টি ঘেরে চাষ করেছিলেন মাছ। মাছও বিক্রির উপযোগী হয়েছিল। তাই স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন ছিল চোখে। কিন্তু রাতের আঁধারে বানের জলে ভেসে গেছে তার সেই স্বপ্ন।
তার মতো সিরাজ মিয়াও দিশেহারা। বন্যায় তারও ভেসে গেছে প্রায় অর্ধকোটি টাকার মাছ। অসময়ের হঠাৎ বন্যার বিষয়ে ধারণা ছিল না কারোর। ফলে সুযোগ মেলেনি আগাম প্রস্তুতির।
সুনামগঞ্জ জেলা মৎস্য অধিদফতরের হিসাব বলছে, ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে ১২০০ জলাশয়ের মাছ ভেসে গেছে। যাতে ক্ষতির পরিমাণ ৩ কোটি টাকা। যদিও বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। কোনো কোনো খামারির একারই ক্ষতি হয়েছে কোটি টাকার বেশি। তাই তাদের পুনর্বাসনে ক্ষতিগ্রস্ত মাছ চাষীদের তালিকা করে সহজ শর্তে ঋণ দেয়ার দাবি অনেকের।
এসজেড/
Leave a reply