দেশের ৬টি করপোরেট গ্রুপ সিন্ডিকেট করে ধান-চাল মজুদ করে বেশি দামে বিক্রি করছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, গ্রুপগুলো ধান-চালের ব্যবসায়ী না। ফায়দা লুটতে হঠাৎ মজুদের ব্যবসায় নেমেছে। এসব সিন্ডিকেটের সাথে খাদ্য মন্ত্রণালয় লড়াই করছে।
বুধবার (১ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, ছয়টি গ্রুপ চালের প্যাকেট করে বেশি দামে বিক্রি করছে। এই সিন্ডিকেটকে দমাতে না পারলে প্রয়োজনে চাল আমদানি করে তাদের শাস্তি দেয়া হবে। দেশে যথেষ্ট ধান-চাল রয়েছে জানিয়ে সাধন মজুমদার বলেন, মূল্যবৃদ্ধির কোনো কারণ নেই। নির্বাচনের আগে একটা অসাধু মহল এই কাজ করছে বলে অভিযোগ করেন মন্ত্রী। মজুদদারদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চলছে। তারা যেই হোক না কেন ছাড় পাবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন সাধন চন্ত্র মজুমদার।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ছয়টি করপোরেট প্রতিষ্ঠান হলো এসিআই, আকিজ, বসুন্ধরা, প্রাণ, সিটি ও স্কয়ার গ্রুপ। তারা মিল থেকে বেশি দামে চাল কিনে বেশি দামে বাজারে বিক্রি করছে। এতে দাম বাড়ছে। চালের ক্ষেত্রে সরকার করপোরেট ফাঁদে পড়েনি। সে চেষ্টা হয়েছিল। তবে ফাঁদে ফেলতে পারেনি। মজুদবিরোধী অভিযানে কেউ পালালেও তারা ছাড় পাবে না। যে ছয়টি প্রতিষ্ঠান প্যাকেট করে অন্য মিল থেকে নিয়ে চাল বিক্রি করছে তারা দেশের বাজার থেকে চাল কিনতে পারবে না। তবে নিজস্ব মিলে প্যাকেট করতে পারবে। সেক্ষেত্রে মজুদের বিধান মানতে হবে। আর না হলে ৬৭ ভাগ ট্যাক্স দিয়ে আমদানি করে তাদের প্যাকেটজাত চাল বিক্রি করতে হবে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য সামারি আকারে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।
মন্ত্রী বলেন, যেভাবে চালের দাম বাড়ছে ভরা মৌসুমে এটা কাম্য নয়। বাজারে যথেষ্ট চাল আছে। ৬টি প্রতিষ্ঠান ধান মজুদ করছে, যারা ধান-চালের ব্যবসায়ী না। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সাঁড়াশি অভিযান চলছে। বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ৫ লাখ মেট্রিক টন মজুদ সিলগালা করা হয়েছে।
বন্যা ও বৃষ্টিতে ধান-চালের ক্ষয়-ক্ষতির প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ধানের আদৌ কোনো ক্ষতি হয়েছে কিনা, বা কত ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণ করছে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনার। আগামী ৭ দিনের মধ্যেই তারা রিপোট দেবে।
চাল দেশে উৎপাদিত হয় বলে এ নিয়ে সঙ্কটের কারণ নেই উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সিন্ডিকেটের সাথে লড়াই করছি। যদি দেখি না পারি, তাহলে আমদানি করে তাদের শাস্তি দেয়া হবে। আমাদের মনিটরিং চলছে আগে থেকেই। প্রধানমন্ত্রী বলার পর অভিযান চলছে তা নয়। আমি ক্যাবিনেটে বিষয়টি তুলেছি। নির্বাচনের আগে অসাধু একটা মহল এটা করছে। তবে, মজুদদার ও সন্ত্রাসী কোনো দলের না। তারা যেই হোক, মজুদ করলে কোনো ছাড় পাবে না।
/এম ই
Leave a reply