মুমিনুলের ক্রিকেট অধ্যায়

|

ফাইল ছবি

বাংলাদেশের ক্রিকেটে আসার গল্পটা মসৃণ ছিল না মুমিনুল হকের। কক্সবাজারে বেড়ে ওঠা এ ক্রিকেটারের পদক্ষেপ ছিল স্রোতের বিপরীত, তা সত্বেও দমে যাননি তিনি। বরং মেধা আর মননকে কাজে লাগিয়ে একটা সময়ে পেয়ে যান “টাইগার ব্র্যাডম্যান” এর খেতাব, হয়ে ওঠেন টাইগারদের ভরসার প্রতীক।

১৯৯১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারে জন্মগ্রহণ করেন মুমিনুল হক (সৌরভ)। জাতীয় দলে পরিচিত মিমি নামে। তবে সৌরভ ছড়িয়ে মিমি হওয়ার গল্পটা কিন্তু মোটেই সুখকর ছিল না। ক্রিকেটকে জীবনের সুতোয় গাঁথতে বেছে নেন বিকেএসপিকে। নিজের সামর্থ্যের সবটুকু দিয়েও শেষ পর্যন্ত বাদ পড়তে হয় উচ্চতা কিছুটা কম থাকায়। তবে মুমিনুলও দমে যাওয়ার পাত্র নন। উত্তাল ঢেউয়ে কিভাবে লক্ষ্যে পৌঁছাতে হয় তা ভাল করেই জানা এ ক্রিকেটারের।

তাই তো, দ্বিতীয়বারের সুযোগের জন্য উঠে-পড়ে লাগেন মুমিনুল। শুরু হয় উচ্চতা বাড়ানোর সকল কসরত। মুমিনুলের বাবা ছেলের স্বপ্ন সারথী হতে কিনে দেন সাইকেল। অবশেষে ২০০৪ সালে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। শুরু হলো বিকেএসপিতে ক্রিকেট জীবন।

এরপর, কেবলই এগিয়ে যাওয়ার গল্প। পেয়ে যান টেস্ট ক্রিকেটে টাইগার ব্র্যাডম্যান খেতাব। গড় ছিল ৫০ এর ওপরে। অধিনায়কত্ব পাওয়ার আগে ৩৬ টেস্টে ৮ সেঞ্চুরি আর ১৩ ফিফটিতে তার রান ছিল ২ হাজার ৬১৩।

তবে অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর থেকেই দৃশ্যপট যেন বদলাতে শুরু করলো সৌরভের। এই সময়ে ১৭ টেস্টে তার গড় ৩১.৪৪। ২ ফিফটি আর তিন সেঞ্চুরিতে করেছেন ৯১২ রান। স্বীকার করলেন অধিনায়কত্বের জন্য ফোকাস করতে পারছেন না নিজের ব্যাটিংয়ে। যে কারণে রাখতে পারছেন না ইমপ্যাকট।

এ ব্যাপারে মুমিনুল হক বলেন, ব্যাটিংয়ে যদি আরেকটু মনযোগ দিতে পারি তাহলে টিমের জন্য ভাল, আমার জন্যও ভাল। যত বড় ক্যাপটেনই হোন, তিনি যদি দলে কনট্রিবিউট করতে না পারেন তাহলে প্রেশার আসা খুবই স্বাভাবিক।

অধিনায়কত্ব ছেড়ে এখন হয়তো অনেকটাই নির্ভার হয়ে মাঠে নামবেন মুমিনুল হক। স্বীকার করছেন দলের প্রয়োজনে ভূমিকা রাখতে না পারার কথা। তাই কোনো চাপে নয়, ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিতেই অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত মুমিনুলের। প্রত্যাশা পূরণে আরেকটিবার নিজেকে উজার করে ফিরে পেতে চাইবেন টেস্টে ক্রিকেটে নিজের সোনালী অতীত। টাইগারদের সদ্য সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হকের প্রত্যাশা, আমাদের আরও অনেক দূর যেতে হবে, আরও ইমপ্রুভ করতে হবে।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply