চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুনের ঘটনায় কিছুক্ষণ পরপর বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। এরমধ্যে চার কিলোমিটার দূরেও শোনা গেছে কোনো কোনো বিস্ফোরণের শব্দ। বিস্ফোরণে আশপাশের এলাকার বিভিন্ন ভবনের কাচ ভেঙে গেছে।
শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। রাত বাড়ার সাথে সাথে এ আগুনের ঘটনার ভয়াবহতা বাড়ে। ঘটনাস্থলে কাজ করা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানিয়েছেন, পানির উৎসের অভাবে ধীরগতিতে কাজ করতে হচ্ছে তাদের। তাই আগুন নেভাতে সময় লাগছে।
এ ঘটনায় ইতোমধ্যে পাঁচজন মারা গেছেন। আর আহত হয়েছেন অন্তত দুই শতাধিক। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা এ তথ্য জানিয়েছেন। কনটেইনার ডিপো থেকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধারকৃতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপালের পাশাপাশি আশপাশের বেসরকারি ক্লিনিক-হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এ ঘটনার কারণে চট্টগ্রামের সকল চিকিৎসকের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আর সকল চিকিৎসককে হাসপাতালে যোগ দিতে চট্টগ্রামের জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালেও দগ্ধদের চিকিৎসা সেবা দিতে বলেছে সিভিল সার্জনের কার্যালয়।
জানা গেছে, হাসাপাতালে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে এ পজেটিভ, এ নেগেটিভ, এবি পজেটিভ এবং ও পজেটিভ রক্তের সংকট দেখা গিয়েছে। অবশ্য স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো এগিয়ে আসছে সহযোগিতার জন্য। এদিকে, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সদস্যদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবস্থান করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন ক্রিকেটার তামিম ইকবাল।
সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, আগুন নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট। ইতোমধ্যে কাজ করতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৯জন কর্মী আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে সহযোগিতা করার জন্য আশপাশের কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুরের ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন স্টেশনের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এসব স্টেশন থেকে ঘটনাস্থলে ইউনিট যুক্ত হয়েছে।
বিএম কনটেইনার ডিপোতে আমদানি ও রফতানির বিভিন্ন মালামালবাহী ৫০ হাজার কনটেইনার আছে বলে জানা গেছে। তাতে রাসায়নিক দ্রব্যের কনটেইনারও রয়েছে।
/এমএন
Leave a reply