যুক্তরাজ্যের হাউজ অব কমন্সে গতকাল সোমবার (৭ জুন) দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ভাগ্য নির্ধারণ হয়। তার বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা ভোটে রক্ষণশীল দলের ৩৫৯ সংসদ সদস্যের মধ্যে ২১১ জনের ভোট পান। বিপরীতে ১৪৮ জন সংসদ সদস্যের সমর্থন পাননি তিনি।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বরিস জনসন অনাস্থা ভোটে জিতলেও এই ফলাফল তার নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষমতাকে খাটো করেছে। তার দলের সংসদ সদস্য জুলিয়ান স্টার্ডি জানিয়েছেন, ফলাফলে প্রমাণিত হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের পূর্ণ সমর্থন তার সঙ্গে আর নেই।
এ জয়কে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ‘নিরঙ্কুশ’ বলে দাবি করলেও দলের সবাইকে এক হয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত কয়েক মাস ধরে নৈতিকতা সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের কেলেঙ্কারির অভিযোগ মোকাবেলা করতে হচ্ছে বরিস জনসনকে। বিশেষ করে, করোনা মহামারির মধ্যে সরকারি ভবনে আইন ভঙ্গ করে অনুষ্ঠান আয়োজন করে বেশ বিতর্কিত হয়েছেন।
ভোটগ্রহণের আগে হাউজ অব কমন্সে বক্তব্য দিয়ে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেন বরিস জনসন। বলেন, আমি আপনাদের আবারো বিজয় এনে দেব।
বিশ্লেষকরা মনে করেছেন, বরিস জনসন আগামীতে আরও চাপে পড়বেন। তাদের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রেক্সিট পরবর্তী মতানৈক্য এবং দেশে বাড়তে থাকা মূল্যস্ফীতি সরকারের ওপর ধারাবাহিকভাবে চাপ সৃষ্ট করে যাচ্ছে। তাই এ জয় বরিস জনসন কতদিন ধরে রাখতে পারে তা দেখার বিষয়।
/এমএন
Leave a reply