পিবিআই কার্যালয়ে নয়; অভিভাবক, মহিলা পুলিশ কর্মকর্তা এবং সমাজসেবা কর্মকর্তার সামনে শিশু আইন মেনে বাবুল আক্তারের দুই সন্তানের জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (৮ জুন) সকালে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি সাহেদ নূর উদ্দিনের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। তদন্ত কর্মকর্তাকে কোনো বিলম্ব ছাড়াই দ্রুত তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নির্দেশে আরও বলা হয়, শিশুদের জিজ্ঞাসাবাদের আগে রাখা হবে সমাজসেবা কর্মকর্তার কাছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ২৬ জুলাই দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ সময়, ছয় বছরেও মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তদন্ত শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। তদন্তের এ ধরনের দীর্ঘসূত্রিতার ফলে মামলার জটও বাড়ছে বলেও মন্তব্য করা হয়। কোনো ধরনের গড়িমসি বা টালবাহানা করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে চট্টগ্রাম শহরের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মাহমুদা খানম মিতুকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই সময় তার স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। চট্টগ্রামে ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় তিনি দাবি করেন, জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের তিনি জড়িত থাকায় তার স্ত্রী আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হয়ে থাকতে পারেন। তবে সপ্তাহ দুয়েকের মাথায় তদন্তে নাটকীয় মোড় আসে। সন্দেহের তালিকায় উঠে আসে বাবুল আক্তারের নামও। পরে তাকে চাকরি থেকে অবসর নিতে হয়। মিতু হত্যার পর বাবুল আক্তার প্রথমে ঢাকার মেরাদিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে উঠেছিলেন। প্রথমে তাকে নির্দোষ বলে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিলেও পরে বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন ও শাশুড়ি সাহেদা মোশাররফ হত্যাকাণ্ডের জন্য মেয়ের জামাইকে দায়ী করা শুরু করেন।
/এম ই
Leave a reply