অভিনয় থেকে গসিপ, আলোচনা-সমালোচনায় বারাবরই শিরোনামের থাকেন বলিউড ভাইজান সালমান খান। সম্প্রতি সালমান ও তার বাবা সেলিম খানকে দেয়া হয়েছে খুনের হুমকি। এরই মধ্যে পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে ২০০ সিসিটিভি ফুটেজ, সঙ্গে নিয়েছেন সালমান খানের বক্তব্য। কিন্তু পুলিশের কাছে দেয়া বয়ানে এবার ‘ভাইজান’ জানালেন ভিন্ন এক খবর।
এর আগে, রোববার (৫ জুন) সালমান খান এবং তার বাবা সেলিম খানকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছিল। আর তার পর থেকে মুম্বাই পুলিশ কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে এ মামলার তদন্ত করতে। এবার সামনে এলো এ মামলা সম্পর্কিত বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা গেছে, রোববার মর্নিং ওয়াকের সময় সেলিম খান এক উড়ো চিঠি পেয়েছিলেন। ঐ চিঠিতে তাকে এবং সালমানকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়েছিলো। চিঠিটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেলিম খান বান্দ্রা পুলিশ স্টেশনে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করেন। তারপর থেকেই মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে সালমান আর তার পরিবারের সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
জানা গেছে, পুলিশ দিন-রাত এক করে এই মামলার তদন্তে ব্যস্ত। ইতিমধ্যে মুম্বাই পুলিশ চারজনের বয়ান রেকর্ড করেছে। এ চারজন হলেন সেলিম খান, সালমান, আর তার দুই ভাই আরবাজ খান ও সোহেল খান। কিন্তু, পুলিশের কাছে দেয়া বয়ানে সালমান খান জানিয়েছেন, কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে হত্যার হুমকি পাননি; এমনকী কোনো ব্যক্তির সঙ্গে বিবাদেও জড়াননি তিনি।
এছাড়াও পুলিশ সালমানের বাড়ি গ্যালাক্সির আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে। জানা গেছে, তারা এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক সিসিটিভি ফুটেজ বাজেয়াপ্ত করেছে। সেলিম খান যে বেঞ্চ থেকে উড়ো চিঠিটি পেয়েছিলেন, তার ২০-৩০ মিটার দূরের এক সিসিটিভি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। গাছপালার কারণে নাকি সিসিটিভির ফুটেজে বেঞ্চটি ঠিকমতো দেখা যাচ্ছে না বলে জানা যায়।
তবে খুনের হুমকি দেয়া উড়ো চিঠিতে বেশ কিছু ‘কোড ওয়ার্ড’ লেখা পাওয়া গেছে। পুলিশ এখন সেসব কোড ওয়ার্ডের আড়ালে আসল শব্দ উদ্ধারে ব্যস্ত। ‘এলবি’, ‘জিবি’সহ আরও নানান কোড ওয়ার্ড লেখা আছে। মুম্বাই পুলিশ তদন্তকারী কর্মকর্তারা মনে করছেন যে ‘এলবি’ মানে লরেন্স বিষ্ণোই, আর ‘জিবি’ মানে গোল্ডি বরাড়।
এর আগেও একবার লরেন্স বিষ্ণোই সালমানকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। আর উড়ো চিঠিতে বলা হয়েছে যে পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসওয়ালার মতো হাল হবে সালমানের। কিছুদিন আগে গায়ক সিধু মুসওয়ালাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আর এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইর নাম পাওয়া যাচ্ছে। তাই মুম্বাই পুলিশের সন্দেহের তালিকায় সবার ওপরে এখন লরেন্স বিষ্ণোইর নাম।
এরই মধ্যে সালমান তার আসন্ন সিনেমা ‘কাভি ঈদ কাভি দিওয়ালি’র শুটিংয়ের জন্য হায়দ্রাবাদে রওনা দিয়েছেন। এয়ারপোর্টে সালমানের গাড়ি ঢুকতেই সেখান থেকে প্রথমে নেমে আসেন এক পুলিশ অফিসার। তারপর সালমানকে গাড়ি থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়। সেখানে ছিলেন সালমানের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী শেরা।
এছাড়াও, প্রতিদিন সকালে ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে হাঁটতে বের হন সেলিম খান। বান্দ্রা ব্যান্ড স্ট্যান্ডের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় প্রতিদিন বিশ্রাম নেন তিনি। এদিকে, মুম্বাই পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় পাণ্ডে জানান, ‘এই চিঠি ভুয়া কি না, সেটিও এখনই বলা যাচ্ছে না। চিঠির সঙ্গে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই বা গোল্ডি বরাড়ের হাত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
/এসএইচ
Leave a reply