হাসপাতালে পড়ে ছেলের মৃতদেহ। সেই মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে ছাড়াতে ভিক্ষার ঝুলি হাতে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন মা-বাবা। কারণ হাসপাতালের কর্মচারী এই দম্পতিকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দিলেই দেয়া হবে ছেলের দেহ। তাই ঘুষের টাকা জোগাড় করতে ভিক্ষার পথ বেছে নিয়েছেন অসহায় দম্পতি। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বিহারের সমস্তিপুরে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
মহেশ ঠাকুর ও তার স্ত্রীর ভিক্ষা চাওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হতেই তোলপাড় শুরু হয়। মহেশ ঠাকুর বলেন, কিছু দিন আগে আমাদের ছেলে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে একজনের ফোনে জানতে পারি, সমস্তিপুরের সদর হাসপাতালে ওর মৃতদেহ পড়ে আছে। হাসপাতালের এক কর্মী জানিয়েছেন ৫০ হাজার টাকা না দিলে ছেলের দেহ ফিরে পাওয়া যাবে না।
খবরে বলা হয়, ওই হাসপাতালের বেশির ভাগ স্বাস্থ্যকর্মীই চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী। তারা সময়মতো নাকি বেতন পান না। তাই বাড়তি আয় করতে তারা রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে বিভিন্ন উপায়ে টাকা আদায় করে থাকেন। আগেও ওই হাসপাতালে এ রকম ঘটনা ঘটেছে।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ওই কর্মীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
সমস্তিপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক এস কে চৌধুরী জানিয়েছেন, যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তারা রেহাই পাবেন না। এটি মানব সমাজের জন্য লজ্জাজনক।
ইউএইচ/
Leave a reply