পদ্মা সেতু নিজেদের অর্থায়নে নির্মাণের ঘোষণায় নড়েচড়ে বসেছিল বিশ্ব মোড়লরা। অর্থনৈতিক সামর্থ্য নিয়ে শুধু সন্দেহ নয়, তাচ্ছিল্য ছিল দেশীয়দের মেগা স্ট্রাকচার নির্মাণে মেধা ও দক্ষতা নিয়েও।
তবে, পদ্মা সেতু প্রকল্পের মূল অবকাঠামোর নকশা ও নির্মাণ, নদী শাসনসহ সব কাজের সঙ্গেই ছিলেন দেশীয় প্রকৌশলী আর কর্মীরা। সংখ্যায়ও বেশি দেশীয়রাই। বিদেশিদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রেখেছেন মেধা আর দক্ষতার স্বাক্ষর। আর নতুনদের তৈরি হয়েছে অভিজ্ঞতা। বঙ্গবন্ধু সেতু, পদ্মা সেতু নির্মাণে বিদেশি মেধার সহযোগিতা নেয়া হলেও এমন বৃহৎ স্থাপনা এককভাবেই এখন নির্মাণে সক্ষম বাংলাদেশিরা।
পদ্মাসেতু নির্মাণে বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান এম শামীম জে বসুনিয়া জানিয়েছেন, সাহস না করলে হবে না। পদ্মাসেতু সাহস তৈরি করেছে। পদ্মাসেতুর মতো মেগা স্ট্রাকচার এককভাবে নির্মাণের মেধা ও দক্ষতা দেশের প্রকৌশলী-কর্মীদের আছে। তবে ঘাটতি আছে আধুনিক প্রযুক্তি ও ভারী যন্ত্রপাতির।
আর বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন মনে করেন, বৃহৎ স্থাপনা নির্মাণে অর্থনৈতিক সক্ষমতা ও সাহস তৈরি করেছে পদ্মাসেতু।
বিশ্বব্যাংকের ঋণ বাতিলের পর নিজেদের অর্থায়নে সেতু নির্মাণ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার প্রমাণ। এই সাহস দেখানোটা শাপেবর হয়ে এসেছে বাংলাদেশের জন্য। সেতুর নির্মাণে অর্থ যোগাড় এবং ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে বৃহৎ স্থাপনা নির্মাণে কাজে লাগানোর আহ্বান এই অর্থনীতিবিদের।
পদ্মা সেতুই বাংলাদেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত প্রথম ও একমাত্র মেগা প্রকল্প যেটি নিজেদের অর্থায়নে নির্মিত।
/এমএন
Leave a reply