সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডির পর চট্টগ্রামে দ্রুত নির্মাণযজ্ঞ চলছে বার্ন ইনস্টিটিউটের

|

বার্ন ইনস্টিটিউট নির্মাণের জন্য নির্ধানিত স্থান পরিদর্শনে চীনা কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি।

অবশেষে চট্টগ্রামে হচ্ছে ১০০ শয্যার বিশেষায়িত বার্ন ইনস্টিটিউট। বিনিয়োগে আগ্রহী চীন, প্রস্তাবিত ৪টি স্থান পরিদর্শনও করেছে প্রতিনিধি দল। সীতাকুণ্ডে বিএম ডিপোতে আগুন আর বিস্ফোরণের ভয়াবহতার পর দ্রুত নির্মাণে চলছে তোড়জোড়। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আদলে ডিজাইনও তৈরি।

সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুন এবং বিস্ফোরণের ঘটনার পর মাত্র ২৬ শয্যা সংখ্যার হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা সঙ্কটের চিত্র আরেকবার ফুটে উঠেছে। চট্টগ্রামে বিশেষায়িত বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। তাই সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডির পর শুরু হয়েছে তোড়জোড়। ১০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে শতকোটি টাকা বিনিয়োগে আগ্রহী চীন। প্রস্তাবিত চারটি জায়গা পরিদর্শন এবং ড্রয়িং-ডিজাইনের কাজও শেষ।

চট্টগ্রামে বিশেষায়িত হাসপাতালের জন্য ২০১৪ সালে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানোর পর বিনিয়োগে আগ্রহ দেখায় চীন। কিন্তু স্থান নির্ধারণ করতে না পারায় তখন তারা ফিরে গেলেও এবার বেশ আশাবাদী কর্তৃপক্ষ।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান জানান, আমাদের ম্যাপ এবং ডিজাইন সংশ্লিষ্টরা দেখেছেন। জায়গা পরিদর্শন শেষে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে অগ্নিদগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা চলে জোড়াতালি দিয়ে। বেশিরভাগকে পাঠাতে হয় ঢাকায়। তাই ১০০ শয্যা বিশিষ্ট বার্ন ইনস্টিটিউট তৈরির দাবি ছিল আগে থেকেই।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply