মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ ও তাদের পুনর্বাসন কাজে সেনাবাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিগগিরিই সেনাবাহিনী তাদের কার্যক্রম শুরু করবে।
আজ বুধবার কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের জন্য নানা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের দেয়া ত্রাণ গ্রহণ শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
মন্ত্রীর সঙ্গে এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন, পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন। পরে ত্রাণগুলো জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করেন মন্ত্রী।
গত দুদিনে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ত্রাণ বিতরণ করেন সেতুমন্ত্রী। সর্বশেষ বুধবার টেকনাফের শামলাপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেন।
গত আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর ২৯ চৌকিতে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে দেশটির সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে অভিযান শুরু করে। বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগ, বোমা নিক্ষেপ, গুলি করে ও গলা কেটে রোহিঙ্গাদের হত্যার অভিযোগ ওঠে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। এরপর রোহিঙ্গারা দলে দলে বাংলাদেশে আসতে শুরু করে; যাদের সংখ্যা বর্তমানে ৪ লাখ অতিক্রম করেছে।
এই বিশাল সংখ্যক শরণার্থীর পূনর্বাসন ও ত্রাণ বিতরণে শুরু থেকেই বিশৃঙ্খলা চলে আসছে। ত্রাণ নিতে গিয়ে একাধিকজন মারাও গেছেন। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষে এত বিশাল সংখ্যক মানুষের পুনর্বাসনে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
/কিউএস
Leave a reply