ফলাফলে বহিষ্কার সেই ছাত্রলীগ নেতা, প্রতিষ্ঠানের বাকি সবাই ফেল

|

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:

ঝিনাইদহে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা চলাকালে ফেসবুকে লাইভ দেওয়ার সেই ছাত্রলীগ নেতা কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন সুমনের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। পরীক্ষায় তাকে বহিষ্কার এবং কেন্দ্রের বাকি সবাইকে অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে।

সোমবার (১৩ জুন) বিকেলে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত ফলাফলে এ তথ্য পাওয়া যায়। কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন সুমনসহ কেন্দ্রের সবাই শহরের প্রিজম কম্পিউটার অ্যাকাডেমির শিক্ষার্থী ছিলেন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশনের জুলাই-ডিসেম্বর সেশনে প্রিজম কম্পিউটার অ্যাকাডেমি থেকে ১৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। একজনকে বহিষ্কৃত ও বাকি ১৪ জনের রোল নম্বরের পাশে ফেল দেখানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৮ এপ্রিল কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে ৬ মাস মেয়াদি কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন বিষয়ের পরীক্ষা দেওয়ার সময় ৯ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের একটি লাইভ করেন তিনি। লাইভে তাকে বলতে দেখা যায়, আমাদের পরীক্ষা চলছে, সবাই লিখছে, আমি বসে আছি। সবাই লিখছে বাংলায়, আমি তো বাংলায় লিখি না, ইংলিশে লিখি। অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল পরীক্ষার হলরুমে ফেসবুক লাইভ দেব। সেই ইচ্ছা আজ পূরণ হলো। ম্যাডামও দেখি আমার ভিডিও করছেন। আমরা ছাত্রলীগ, যেখানে যাবো সেখানেই বুলেট।

তবে ব্যাপারটি নিয়ে তিনি মোটেই অনুতপ্ত ছিলেন না। ঘটনাটির পর যমুনার এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেছিলেন, পরীক্ষা কক্ষে ফেসবুক লাইভে এসেছিলাম, এটা আহামরি কিছু না। বিষয়টি খারাপ কিছু বলে আমি মনে করছি না। পরীক্ষা কক্ষে তখন আমাদের ম্যাডামরা ছিলেন। সে সময় আমি নিজের ফোন থেকেই ফেসবুকে লাইভ করি। তবে ছাত্রলীগের দায়িত্বশীল একটা পদে থেকে কাজটা করা উচিত হয়নি। কিন্তু মানুষ একটা ভুল করলে তাকে এতো চেপে ধরতে হবে কেন? তাকে সেভ করাই সংবাদ কর্মীদের কাজ। অথচ তারা সেভ না করে এটা প্রকাশ করে দিচ্ছে। বিষয়টা খুবই আশ্চর্যজনক। এ নিয়ে প্রকাশিত যমুনার খবরটি পড়ুন এখানে। 

ফেসবুক লাইভটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। এরপর এ ঘটনা তদন্তে ৯ এপ্রিল ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের চিফ ইন্সট্রাক্টর সোহরাব হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। তারা সুমনের পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করেন। এ নিয়ে যমুনার প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে।

একই দিন রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply