এবি ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ: ১১ জন কেন পলাতক, ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট

|

এবি ব্যাংকের ১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় আদালতের নির্দেশের পরও ১১ জনকে কেন গ্রেফতার করা হয়নি, এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান ও আইজিপির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে হাইকোর্ট।

আগামী ২৬ জুন এ বিষয়ে জবাব দিতে বলেছে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ। মঙ্গলবার (১৪ জুন) এ নির্দেশনা দেয়া হয়।

এ ঘটনায় ২০২১ সালের জুনে কথিত এরশাদ ব্রাদার্স করপোরেশনের মালিক এরশাদ আলী এবং এবি ব্যাংকের সাবেক দুই এমডি শামীম আহমেদ ও মসিউর রহমানসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, এরশাদ আলী নামে এক ব্যক্তি এবি ব্যাংকের কাকরাইল শাখা থেকে পদ্মা রেলসেতু প্রকল্পে পাথর সরবরাহের ৬টি ওয়ার্ক অর্ডার দেখিয়ে ১৬৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা ঋণ নেন। কোনোরকম যাচাই-বাছাই ছাড়াই এ ঋণ দেন ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তা। এছাড়া ৭টি ব্যাংক গ্যারান্টি প্রস্তুত করে আরো ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটে।

ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, ৪ জন জেল হেফাজতে আছে। বাকি ১১ জনকে কেন দুদক বা পুলিশের আইজি ধরতে পারলো না বা, তারা কোথায় কোন অবস্থায় আছে; এ ব্যাপারে আগামী ২৬ জুন দুদক চেয়ারম্যান ও আইজিপির নিজস্ব অবস্থান লিখিতভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য একটি নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। কোর্টের আদেশের পরও ১১ জন কীভাবে পলাতক থাকে, হাইকোর্ট তা জানতে চেয়েছেন।

আরও পড়ুন: ২ হাজার কোটি টাকা পাচার মামলায় বাবরের জামিন আবেদন খারিজ

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply