৩য় বিশ্বকাপের আসর বসেছিলো ফ্রান্সে; আগের ২ বার স্বাগতিক দল চ্যাম্পিয়ন হলেও; ১৯৩৮ সালে ভাঙ্গে সেই ধারা। ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে টানা ২ বিশ্বকাপ জেতার কীর্তি গড়েছিল ইতালি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে যা ছিল শেষ বিশ্বকাপ।
২য় বিশ্বযুদ্ধের ডামোডালের গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থের তৃতীয় আসর মাঠে গড়ানো নিয়েই ছিলো শঙ্কা। ফিফা সভাপতি জুলেরিমের হাত ধরেই কেটে যায় সে শঙ্কা। ইতালির পর দ্বিতীয় ইউরোপিয়ান দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের হোস্ট ফ্রান্স। আয়োজক হতে না পেরে প্রথম আসরের ২ ফাইনালিস্ট আর্জেন্টিনা আর উরুগুয়ে অবশ্য অংশ নেয়নি ১৯৩৮ বিশ্বকাপে।
বাছাইপর্ব শেষে মূলমঞ্চে জায়গা পায় ১৬ দল। কিন্তু শেষমুহূর্তে হিটলারের নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে অস্ট্রিয়া অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকে।
অংশগ্রহণকারী ১৫ দেশের মধ্যে ১২টিই ছিল ইউরোপের। বাইরের কেবল ব্রাজিল, কিউবা ও ডাস্ট ইস্ট ইন্ডিজ যা বর্তমানে পরিচিত ইন্দোনেশিয়া নামে।
নকআউট পদ্ধতির আসরে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় পর্বে উঠেছিলো ব্রাজিল। তবে সেমিফাইনালে আজ্জুরিদের কাছে হেরে আর যাত্রা লম্বা হয়নি সেলেসাওদের। সেবার সুইডেনকে হারিয়ে ৩য় হয়েছিলো সাম্বার দেশটি।
৪৫ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে অল ইউরোপা গ্র্যান্ড ফাইনালে নামে হাঙ্গেরি আর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইতালি। হাঙ্গেরিকে ৪-২ গোলে হারিয়েই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় ইতালি। অবশ্য চ্যাম্পিয়ন না হলে মরতে হত ইতালিয়ানদের। কারণে দেশটির তৎকালীন রাষ্ট্রনায়ক বিনিতো মুসোলিন টেলিগ্রাফ করে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল; ‘জয় লাভ কর, না হয় মর”
৭ গোল করে আসরের সর্বোচ্চ গোলস্কোরার হন ব্রাজিলের লিওনিডাস ডা সিলভা। এই বিশ্বকাপেই প্রথম জার্সিতে ব্যবহার করা হয়েছিল নাম্বার।
Leave a reply