৩য় বিমানবাহী রণতরীর উদ্বোধন, যুক্তরাষ্ট্রের পরেই এখন চীন

|

৩য় বিমানবাহী রণতরী উদ্বোধন করেছে চীন।

তাইওয়ান ইস্যু ও দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে পশ্চিমাদের সাথে উত্তেজনার মধ্যেই নতুন বিমানবাহী রণতরী উদ্বোধন করলো চীন। শুক্রবার (১৭ জুন) সাংহাইতে উদ্বোধন করা হয় ‘ফুজিয়ান’ নামের বিশাল আকারের রণতরীটি। এ নিয়ে চীনের নৌ-বহরে যুক্ত হলো মোট ৩টি রণতরী, যা বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের পর সর্বোচ্চ। চীনের নিজস্ব নকশায় তৈরি এই এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারে রাখা হয়েছে সর্বাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা। খবরটি প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন পোস্ট, সিএনএন এবং অন্যান্য গণমাধ্যম।

দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখতে নৌ-বহরকে আরও শক্তিশালী করতে গেল কয়েক বছর ধরেই মরিয়া চীন। এর অংশ হিসেবে মাত্র পাঁচ বছরের ব্যবধানে দু’টি রণতরী নামালো শি জিন পিং সরকার। তাইওয়ান ইস্যুতে গেল কয়েকদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চীনের কথার লড়াই চলছে। সেই সাথে দেয়া হয় যুদ্ধের হুঁশিয়ারিও। আর এমন পরিস্থিতির মধ্যেই সাংহাইয়ের জিয়াংনান শিপইয়ার্ডে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন করা হয় সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এই রণতরী। এটি নিয়ে চীনের সামরিক ভাণ্ডারে যোগ হলো তৃতীয় বিমানবাহী জাহাজ।

বেইজিং বলছে, নিজস্ব নকশায় নির্মাণ করা এই এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার তৈরিতে সময় লেগেছে মাত্র ৫ বছর। ফাইটার এবং বোম্বার, দুই ধরনেরই বিমান পরিবহন করা সম্ভব এই জাহাজের মাধ্যমে। ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট ব্যবস্থার মাধ্যমে নিখুঁতভাবে ওঠা-নামা করতে পারবে যুদ্ধ বিমান। ৮০ হাজার টন ওজনের দানবীয় এই রণতরীটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থাও।

টাইপ ০০৩ মডেলের এই রণতরী চালুর মাধ্যমে বিমানবাহী জাহাজের সংখ্যায় বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে চীন। সবচেয়ে বেশি ১১টি এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার আছে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে। এছাড়া, ব্রিটেন ও ইতালির আছে দুটি করে। অন্যদিকে, ১টি করে বিমানবাহী রণতরী আছে রাশিয়া ও ভারতের।

১৯৯৮ সালে সোভিয়েত আমলের এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার কেনার মাধ্যমে বিমানবাহী রণতরী যুগে প্রবেশ করে চীন। ২০৩০ সালের মধ্যে আরও একটি রণতরীর মালিক হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বেইজিংয়ের।

আরও পড়ুন: বিদেশ গেলে পুতিনের মলমূত্র স্যুটকেসে করে ফেরত আনা হয় দেশে

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply