বাংলাদেশ সীমান্তঘেষা ভারতের আসাম ও মেঘালয় রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। দুই রাজ্য মিলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪ জনে। এর মধ্যে আসামে বন্যা-ভূমিধসে প্রাণ গেছে ৫৫ জনের। আর ১৯ জনের মৃত্যুর তথ্য দিচ্ছে মেঘালয় প্রশাসন। বন্যায় তলিয়ে গেছে আসামের ২৮ জেলার ৩ হাজারের বেশি গ্রাম। নজিরবিহীন বৃষ্টির কারণে বন্যার ভয়াবহতা আরো বাড়ার আশঙ্কা রাজ্য সরকারের।
আসামে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির কোনো লক্ষণ নেই। ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে পানির উচ্চতা। তলিয়ে গেছে ৩ হাজারের বেশি গ্রাম। পানিবন্দী রাজ্যের ২৮ জেলার ১৯ লাখের বেশি বাসিন্দা।
নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায়, প্লাবিত হয়েছে রাজ্যের রাজধানী গুয়াহাটিও। বন্যার তীব্রতায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে আসামের অনেক দুর্গত এলাকা। ফলে, অনেক জায়গাতেই বানভাসী মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরানো যায়নি।
বাঁধ ভেঙে গোটা এলাকায় বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। মহাসড়কের বেশির ভাগ অংশ ডুবে গেছে। সেজন্য যানজট তৈরি হয়েছে।
গত সপ্তাহ থেকেই টানা বৃষ্টি চলছে আসাম-মেঘালয় ও অরুনাচলে। মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে শুক্রবার (১৭ জুন) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয় রেকর্ড ৯৭২ মিলিমিটার। নজিরবিহীন বৃষ্টির কারণে হঠাৎ করেই প্লাবিত হয়েছে অনেক এলাকা। পূর্বাভাস না থাকায় প্রাণহানিও বেশি।
বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে, বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র, গৌরাঙ্গ, বোরোলিয়াসহ আসাম-মেঘালয়ের সব নদ-নদী পানি। আরও অন্তত দু’দিন ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় বন্যা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় আশঙ্কা প্রশাসনের।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, বন্যা দুর্গতদের ত্রাণ সহায়তা ও উদ্ধারকাজের জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী।
/এনএএস
Leave a reply