টেস্ট ক্রিকেটে ২০২২ সালে এখন পর্যন্ত ২৪ টি ক্যাচ মিস করেছে বাংলাদেশ। গত ১ বছরের টি-টোয়েন্টির পরিসংখ্যানটা আরও ভয়াবহ। অথচ, ফিল্ডিং নিয়ে বরাবরই সিরিয়াস বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট । সাম্প্রতিক সময়ে দলের সাথে কাজ করেছেন দেশি-বিদেশি ফিল্ডিং এক্সপার্টরা। তবে, এমন দৃষ্টিকটু ক্যাচিং এর সমাধান দিতে পারছেন না কেউই।
গ্রাম গঞ্জের ক্রিকেটে কেউ ক্যাচ ছাড়লে বন্ধুরা প্রায়শই বলে, “তুই কি টাকি মাছ ধরিস” ? শুনতে হাস্যকর শোনালেও , বাংলাদেশের ক্রিকেটে গলি ক্রিকেট থেকে এই টাকি মাছ ধরা রোগের সংক্রমণ ঘটেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে চলমান অ্যান্টিগা টেস্টে ফিল্ডিং করতে নেমে প্রথম সেশনেই ক্যাচ মিস হয়েছে ৩ টি, এরপর হাত ফসকেছে আরও ২ টি, ক্যাচ ধরার মতো অবস্থা ছিল আরও একটি। সব মিলিয়ে উইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে ক্যাচ নেয়ার সুযোগ ছিল মোট ৬ বার।
রানের খাতা খোলার আগেই জীবন পাওয়া ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট আরও দু’টি জীবন পেয়েছেন যথাক্রমে ১৬ এবং ৬৩ রানের সময় ।
২০২২ সালে এখন পর্যন্ত টেস্ট ম্যাচ ক্রিকেটে বাংলাদেশের ক্যাচ নেয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ৬৯ বার, যার ২৪ টির সুযোগই নিতে পারেনি টাইগাররা। টি-টোয়েন্টিতে তে দশাটা আরও বেহাল। হাই ইন্টেনসিভ এই ফরম্যাটে এ বছর ৩৯ টি ক্যাচ ছেড়েছে বাংলাদেশ ।
ব্যাট হাতে গত ১৭ ইনিংসে ১ টি হাফ সেঞ্চুরি করা শান্ত গত ৩ বছরে তার কাছে আসা ১১ টি ক্যাচের মধ্যে মিস করেছেন ৫ টি ।
অথচ সাম্প্রতিক সময়ে ফিল্ডিং নিয়ে যথেষ্ট সিরিয়াস ছিল বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। কাজ করেছেন রায়ান কুকের মত ফিল্ডিং এক্সপার্ট। মাঝে এক সিরিজে কাজ করেছেন রাজিন সালেহ , এখন কাজ করছেন শেন ম্যাকডারমট। তারপরো ফলাফলটা একই ।
/এনএএস
Leave a reply