দ্রুত প্রত্যাবাসনসহ সাত দফা দাবি নিয়ে ‘সমাবেশ’ করেছে রোহিঙ্গারা

|

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

দ্রুত প্রত্যাবাসনসহ সাত দফা দাবি নিয়ে উখিয়া টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে ‘সমাবেশ’ করেছে রোহিঙ্গারা। রোববার (১৯ জুন) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত উখিয়া টেকনাফের প্রায় সবগুলো ক্যাম্পে এই সমাবেশের আয়োজন করে সাধারণ রোহিঙ্গারা।

‘গো হোম ক্যাম্পেইন’ নামে এই সমাবেশে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনসহ সাতটি দাবি তুলে ধরে তারা। ২০ জুন বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে ক্যাম্পে ক্যাম্পে পৃথক স্থানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে রাখাইন ভাষা ও ইংরেজিতে ব্যানার ফেস্টুন প্রদর্শন করে গণবিচার, দ্রুত প্রত্যাবাসনসহ দাবিগুলো তুলে ধরা হয়। রোহিঙ্গারা এই সমাবেশের নাম দিয়েছে ‘গো হোম ক্যাম্পেইন’।

সমাবেশে তারা অবিলম্বে প্রত্যাবাশন শুরু করা, রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার, রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার, ১৯৮২ সালের মিয়ানমারের সিটিজেনশিপ আইন বাতিল, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ঘর বাড়ি ফিরিয়ে দেয়াসহ ৭ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এসব দাবি বাস্তবায়নে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় সমাবেশে।

বাসুখালী ক্যাম্প ৯-এ আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রোহিঙ্গা নেতা আব্দুল আমিন, মাস্টার শফিউল্লাহ, কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্পে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এআরএইচপিএইচ’র সেক্রেটারি মাস্টার জোবাইর, মাস্টার নুরুল আমিন প্রমুখ।

রোহিঙ্গাদের সাত দফা দাবিগুলো হলো- রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন, ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইন বাতিল, অবিলম্বে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ গ্রামে পুনর্বাসন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা, আইডিপি ক্যাম্প বন্ধ করে রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা গ্রামগুলোকে পুনর্বাসন করা এবং মিয়ানমারে নিরীহ মানুষের ওপর নির্যাতন বন্ধ করা।

এর আগে ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট মাস্টার মুহিবুল্লাহর নেতৃত্বে ক্যাম্পে প্রথমবারের মতো বড় সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। পরে তিনি সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হন।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০১৭ সালে ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয়ের আশায় ছুটে আসে। পরে বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদেরকে উখিয়ার টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পে আশ্রয় দেয়।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply