সুনামগঞ্জে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন পানিবন্দি মানুষ

|

খুশী, চার বছরের শিশু। যার বাড়ি সুনামগঞ্জে। বানের পানি বাড়ছে না কমছে, তার মাথায় অতো ভাবনা নেই। তার দুঃখ শুধু একটাই। বড় উঠোন, কিন্তু খেলার কোনো সুযোগ নেই।

আর খুশীর বড় বোন সুমাইয়া এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে চিন্তার সাগরে ভাসছে। পানিবন্দি জীবনযাপনে যারপরনাই অতিষ্ঠ সে।
টানা ৫ দিন ধরে ঘরবন্দি সুমাইয়া-খুশীদের বাবা মোহাম্মদ শহিদ। কাজে যাওয়ারও সুযোগ নেই৷ উপার্জন বন্ধ হওয়ায় দিশেহারা ৬ সন্তানের এ জনক। চুলায় আগুন না জ্বলায় রীতিমতো ঘুম হারাম তাদের মায়ের।

মোহাম্মদ শহিদ জানালেন, তার ঘরে পানি উঠেছে বুকের উপরে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন সিড়িঘরে। মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় কারও সঙ্গে যোগাযোগও নাই। অন্যদিকে তার স্ত্রী জানালেন, একবেলা খেলে আরেকবেলা না খেয়ে পার করছেন।

বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সুনামগঞ্জের সব এলাকা, পরিবারের দুর্দশার চিত্র প্রায় একই৷ সময় যত গড়াচ্ছে, তত দুর্বিষহ হয়ে পড়ছে সুনামগঞ্জের বানভাসি মানুষের জীবন। বিচ্ছিন্ন সুনামগঞ্জে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন পানিবন্দি মানুষ। বিদ্যুৎবিহীন জীবনযাপন পরিস্থিতিকে আরও বিভীষিকাময় করে তুলেছে। দ্রুত খাদ্য আর নিরাপদ পানির ব্যবস্থা না হলে আরও বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কায় বানভাসিরা।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply