কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও পাঠানো হলো স্বামী ও ভাইকে

|

ছবি: মশিউর রহমান শান্ত

আখাউড়া প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ভাইরাল করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ও পরে সেই ভিডিও পাঠানো হয় স্বামী ও তার ভাইকে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে মশিউর রহমান শান্ত নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে আখাউড়া থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (২১ জুন) রাতে ভুক্তভোগী ওই তরুণী বাদী হয়ে আখাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃত মশিউর রহমান শান্ত (৩৫) পৌরশহরে মসজিদ পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল করিমের ছেলে।

আখাউড়া থানায় মামলা সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসীর স্ত্রী হেপী আক্তারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে ২০২১ সালে মশিউর রহমান শান্তর পরিচয় ঘটে। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে। স্বামী বিদেশে থাকায় মশিউর রহমান শান্ত ওই নারীকে নিয়ে মাঝে মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতো। ওই সুযোগে শান্ত ওই নারীর আপত্তিকর ছবি এবং ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে রাখে।

সম্প্রতি মশিউর রহমান শান্তর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় ওই নারী। গত ১৪ জুন ওই নারীর খরমপুরে তার পিতার বাড়িতে দেখা করে শান্ত। এ সময় তার মোবাইলে ধারণকৃত আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে ওই নারীকে কুপ্রস্তাব দেয়। এতে সে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওই আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও তার স্বামী ও ভাইয়ের ইমুতে (ভিডিও কল ও চ্যাটিং অ্যাপ) পাঠায় মশিউর রহমান শান্ত। পরে স্বামী-স্ত্রী ও পরিবারের মধ্যে দেখা দেয় টানাপড়েন। ঘটনা জানাজানি হলে মশিউর রহমান শান্ত ওই নারীর পরিবারকে ভয়ভীতি দেখায় এবং থানা পুলিশকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে ওই নারী মঙ্গলবার রাতে থানায় উপস্থিত হয়ে অভিযোগ দিলে মশিউর রহমান শান্তকে রাতেই অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে আখাউড়া থানা পুলিশ।

আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার সরকার অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি যমুনা নিউজকে জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতারকৃত শান্তকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply