মেঘনা নদীতে চলাচলকারী ও আশুগঞ্জ নৌ-বন্দরে অবস্থানকারী নৌ-যানকে আবহাওয়ার আগাম বার্তা দিতে পর্যবেক্ষণাগার নির্মাণ করা হয়েছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে। দায়িত্বপ্রাপ্তদের উদাসীনতার কারণে এখন নিজেই দূর্যোগের কবলে প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারটি। ফলে বৃষ্টি আর বন্যার মৌসুমে ঝুঁকি নিয়ে ওই রুটে চলাচল করছে নৌযান।
বন্যায় বিপর্যস্ত দেশের বেশিরভাগ জেলা, সে উপলক্ষে ব্যস্ততার শেষ নেই আবহাওয়া পর্যবেক্ষকদের। অথচ এ সময়েই তালাবদ্ধ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারটি।
নৌপথ নির্ভর ভাটি অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা বাড়ে বর্ষা মৌসুমে। তাই নির্ভর করতে হয় আবহাওয়া বার্তার ওপর। আশুগঞ্জ নৌ বন্দর থেকে কোনো আবহাওয়া বার্তা না পাওয়ায় এখন ঝুঁকি নিয়েই চলতে হচ্ছে ওই রুটের নৌযানগুলোকে। আর তথ্য না পাওয়ায় বিভ্রান্ত হচ্ছেন নৌযান শ্রমিকরা, ভুগছেন সিদ্ধান্তহীনতায়। একজন নৌযান চালক বললেন, যে পরিমাণ ঢেউ থাকে তাতে জাহাজ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। এছাড়াও আমরা বেশিরভাগ সময়ই বাতাসের দিক ঠিক করতে পারি না। এই কাজগুলো করার কথা ছিল আবহাওয়া অফিসের, কিন্তু আমরা কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল্লাহ বাহার মাস্টার বলেন, স্বাভাবিক সময়েও জাহাজ চালানোয় অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি হচ্ছে। কোনো ধরনের লাইটিংয়ের ব্যবস্থা নাই, এমনকি কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনীর ব্যবস্থাও নাই।
মেঘনা নদীতে ৭টি রুটে চলাচলকারী ও আশুগঞ্জ নৌ-বন্দরে অবস্থানকারী নৌ-যানকে আগাম বার্তা দেয়ার উদ্দেশ্যে ২০০৯-১০ অর্থবছরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে নির্মিত হয় এ পর্যবেক্ষণাগারটি। জনবল পদায়ন করা হলেও নিয়মিত অফিস করেন না তাদের কেউই। অভিযোগ, টেলিফোনেও পাওয়া যায় না দায়িত্বরতদের। যদিও বিভাগীয় কর্মকর্তার দাবি, এ বিষয়ে কিছুই জানেন না তিনি।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-পরিচালক (চলতি দায়িত্বে) সৈয়দ আবুল হাসানাৎ ফোনে যমুনা নিউজকে বলেন, কই আমি তো ফোন করলেই পাই তাকে। হ্যাঁ লোকবল কম, তবে যেহেতু আপনারা বলছেন আমি সারপ্রাইজ ভিজিটের ব্যবস্থা করবো।
প্রসঙ্গত, দেড় একর ভূমি অধিগ্রহণ করে এ স্থাপনা নির্মানে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ৯১ লাখ টাকা।
/এসএইচ
Leave a reply