নীলফামারী প্রতিনিধি:
মাঠে বাইসাইকেল চালানো নিয়ে ছেলের সাথে ঝগড়াকে কেন্দ্র করে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে বাসায় আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ডোমার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নির্যাতিত ছাত্রের বাবা ও এলাকাবাসী কৃষি কর্মকর্তার সাথে এ নিয়ে কথা বলতে গেলে উল্টো ৬ জনের নামোল্লেখসহ বেশ কয়েকজনকে জড়ানো হয় মামলায়।
নীলফামারীর ডোমার পৌর এলাকার ডাঙ্গাপাড়ার ওই স্কুলশিক্ষার্থী প্রতিদিনের মতো ২০ জুনও বিকেলে বন্ধুদের সাথে খেলতে যায় ডোমার হেলিপ্যাড মাঠে। সেখানে খেলতে যাওয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিছুজ্জামানের ছেলের সাথে ঝগড়া বাঁধে তার। এক পর্যায়ে ওই কর্মকর্তার স্ত্রী এসে ভুক্তভোগী কিশোরকে টেনে হিঁচড়ে তাদের সরকারি বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তাকে আটকে রেখে দড়ি দিয়ে বেঁধে বেধরক মারপিট করেন তারা। এক পর্যায়ে তাকে মেঝেতে ফেলে বুকে পা তুলে দেন কৃষি কর্মকর্তা।
পরে স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। গুরুতর আহত অবস্থায় সে এখন হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে। এখনও তার চিকিৎসা চলছে বলে জানান ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তপন কুমার রায়।
এদিকে সরকারি কাজে বাধা আর ভাঙচুরের অভিযোগ এনে ওই কৃষি কর্মকতা বাদী হয়ে কিশোরের বাবা মোফাজ্জল হোসেনসহ ৬ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে ২০ জুন রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ মোফাজ্জল ও এক ছাত্রকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠালে ২৪ ঘণ্টা পর তারা আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান।
এ নিয়ে কথা বলতে গেলে অফিসে পাওয়া যায়নি ডোমার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিছুজ্জামানকে।
/এডব্লিউ
Leave a reply