আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ এবং কোরবানির স্থান পরিস্কার করার জন্য সকল সিটি করপোরেশন এবং সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারা দেশে পশুর হাট বসবে বলেও জানান মন্ত্রী।
রোববার (২৬ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহা, ২০২২ উপলক্ষে অনলাইনে আয়োজিত পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি বাস্তবায়ন ও কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সার্বিক প্রস্তুতি পর্যালোচনার লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশ প্রদান করেন।
মন্ত্রী বলেন, সড়ক-মহাসড়কের পাশে যেখানে যান চলাচল বিঘ্ন হতে পারে সেখানে কোনো ক্রমেই পশুর হাট বসানো যাবে না। এ নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসকগণ পৌর মেয়র ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নিয়ে সভা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন। সিটি করপোরেশনের মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদ এবং উপজেলা পরিষদ এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানরা সবাই তাদের স্ব স্ব অবস্থানে থেকে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক দায়িত্ব পালন করবেন বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
মো. তাজুল ইসলাম জানান, করোনার মহাসংকটেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে গত ঈদে পশুর হাট বসানো হয়েছিল। এবছরের শুরুতে করোনা সংক্রমনের হার কম থাকলেও গত বেশ কয়েকদিন ধরে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে এবারের পশুর হাট বসাতে হবে। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে কুরবানির হাট বসানোর পাশাপাশি এ বছরও অনলাইনে পশু ক্রয়-বিক্রয়ের বিষয়টি অধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। পশুরহাট বাজার ব্যবস্থাপনা, দ্রুততম সময়ে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের জন্য জনপ্রতিনিধিদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও জনসাধারণ পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।
গত বছরের ন্যায় পশুরহাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি, দ্রুততম সময়ে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের ক্ষেত্রে সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর, সংস্থা এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের কাজ করার আহবান জানান মন্ত্রী।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, জন নিরাপত্তা বিভাগ কোরবানির পশুর হাটে নিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং এ বিষয়ে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রদান।
সভায়, সকল সিটি করপোরেশনের মেয়র, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সচিববৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট অধিদফতরের মহাপরিচালকবৃন্দ অন্যান্যের মধ্যে অনলাইন সভায় অংশ নেন।
/এনএএস
Leave a reply