বিয়ের দু’মাসের মাথায় ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক তরুণী। রোববার ভারতের পুরুলিয়া-কোটশিলা শাখার গৌরীনাথ ধাম এবং চাষরোড রেল স্টেশনের কাছে এসেই ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেন ঝুনপুকি গড়াই নামে ওই তরুণী। তরুণীর বাপের বাড়ির অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছেন তাদের মেয়ে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
খবরে বলা হয়, চলতি বছরের ২১ এপ্রিল গড় জয়পুরের ঝুনপুকির সঙ্গে বিয়ে হয় পাহাড়গোড়া রামপুরের বাসিন্দা ভোলানাথ গড়াইয়ের। ঝুনপুকির বাপের বাড়ির অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই মেয়েকে অত্যাচার করা হতো। কয়েক দিন আগে ভাই রাহুলকে ফোনে মেসেজ করে ঝুনপুকি জানান, ভাই আমি আর পারছি না। আমাকে হেনস্থা করছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
এই মেসেজ পেয়ে তড়িঘড়ি বোনের শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন ভাই রাহুল। বোনকে শ্বশুরবাড়ি থেকে ট্রেনে ফিরছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেন ঝুনপুকি। পরে বোনকে পুরুলিয়া জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান রাহুল। সেখান থেকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তার।
রাহুল জানায়, আমার বোনকে অতিরিক্ত পণের দাবিতে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হতো। ওর স্বামী, শ্বশুর এবং শাশুড়ি মিলে অত্যাচার করতো। এমনকি, আমার বোনকে ফোন পর্যন্ত করতে দিতো না। ফোন করলে কল রেকর্ড করা হতো। পরে নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।
রাহুল আরও জানান, বোন তাকে জানিয়েছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাদের ‘গরিব’, ‘ছোটলোক’ বলে গালমন্দ করতেন। ইতোমধ্যে বোনের শ্বশুরবাড়ির লোকদের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করছেন তিনি।
ইউএইচ/
Leave a reply