ঈদের আগে দেশে ভারতের পেঁয়াজ আসবে না এমন খবরে, আবারও অস্থির বাজার। দুই দিন দর কমলেও, আবার ৫০ টাকা ছুঁইছুই দেশি পেঁয়াজের দাম। কোরবানির প্রস্তুতি নিয়ে নাজেহাল ক্রেতারা। সুখবর নেই সবজির দোকানে। বন্যার প্রভাব না থাকলেও একাধিক পণ্যের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে টমেটো। ক্রেতারা বলছেন, এভাবে লাফিয়ে দাম বাড়লে সংসার সামাল দেয়া কঠিন। তবে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে ইলিশ।
দেশি পেঁয়াজের ভরপুর সরবরাহ এখন বাজারে। দোকানে রাখার জায়গা নেই। সবাই ভেবেছিল কোরবানির আগে অন্তত পেঁয়াজ নিয়ে দুর্ভোগ হবে না। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে কারণ ছাড়াই চড়া পেঁয়াজের দাম।
রাজধানীর কারওয়ানবাজারে গিয়ে জানা গেলো, এবার পেঁয়াজ আবাদে কৃষকদের কেজিতে খরচ হয়েছে কম-বেশি ২০ টাকা। অথচ আড়তে সে পণ্যের দর ৪৫ টাকার ওপরে। এর ব্যাখা নেই কারো কাছে। মাঝে আমদানির ঘোষণায় দুই দিনের জন্য দর কমলেও, শুক্রবার (১ জুলাই) আবার স্বরূপে ফিরলেন ব্যবসায়ীরা। জানালেন, কোরবানির আগে ভারতীয় পেঁয়াজ আসার কোনো সুযোগ নেই।
এদিকে, সবজি বাজারে টমেটো মিলছে হাতেগোনা দোকানে। যেখানে আছে, সেখানে দর ২০০ টাকার ওপরে। আমদানির সঙ্কট এখানেও। নতুন করে বেড়েছে কাঁচামরিচ, শসা, গাজরের দাম। তবে অন্যান্য সবজির দর ওঠানামা করছে ৪০ টাকার আশপাশে।
এখন ইলিশের গন্ধে মাতোয়ারা মাছের বাজার। ৭ দিনের ব্যবধানে দাম নেমেছে অর্ধেকে। বড় আকারের ইলিশের কেজি ১০০০ টাকা। মাঝারির দাম ওঠানামা করছে ৬০০ টাকার আশপাশে। ব্যবসায়ীরা জানালেন, ঈদের আগে সরবরাহ আরও বাড়বে।
মধ্যবিত্তের ফ্রিজ খালি করার সুবাদে গরু ও খাসির দোকানে ভিড় নেই। চাহিদা কম থাকায় আগামী কয়েক মাস মাংসের দাম কিছুটা কমবে।
এসজেড/
Leave a reply