স্টাফ করেসপনডেন্ট, চাঁদপুর:
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে আদালতের নির্দেশে দাফনের ২ মাস ১০ দিন পর ব্যবসায়ী মজিবুর রহমানের মরদেহ উত্তোলন করেছে প্রশাসন।
শনিবার (০২ জুলাই) দুপুরে মুন্সিগঞ্জ বিজ্ঞ সিনিয়র আদালতের নির্দেশক্রমে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেটু কুমার বড়ুয়া, মুন্সিগঞ্জ সদর থানা ও মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশের উপস্থিতে পারিবারিক কবরস্থান থেকে এ মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
জানা গেছে, মতলব দক্ষিণ উপজেলার নায়েরগাও উত্তর ইউনিয়নের ঘোনা গ্রামের খলিলুর রহমানর ছেলে মজিবুর রহমান। সে মুন্সিগঞ্জের সিপাই পাড়া মদিনা প্লাজায় রেস্টুরেন্টের ব্যবসা করতেন। ১০ বছর আগে মুন্সিগঞ্জের বল্লোল এলাকার বাসিন্দা রিনা বেগমকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর থেকে স্ত্রী রিনা বেগম মজিবুর রহমানকে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে দিতেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।
সবশেষ গত ২২ এপ্রিল মজিবুর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন জানিয়ে রিনা বেগম তার মরদেহ পাঠিয়ে দেয় মতলবে। প্রথমে মজিবুর রহমানের পরিবার তা বিশ্বাস করে মরদেহ দাফন করে ফেলে।
কিন্তু লাশের সাথে মুজিবুরের স্ত্রী না আসায় জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি হলে মজিবুরের বাবা বাদী হয়ে রিনা বেগম, রেস্টুরেন্টের কর্মচারী শাওনসহ আরও অজ্ঞাত ৬ জনকে আসামি করে মুন্সিগঞ্জ বিজ্ঞ সিনিয়র আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় আদালতের নির্দেশে মজিবুরের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সেটু কুমার বড়ুয়া বলেন, মুন্সিগঞ্জ বিজ্ঞ সিনিয়র আদালত ও চাঁদপুরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশক্রমে মজিবুরের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে পুনরায় এখানে আবার দাফন করা হবে।
মজিবুরের বোন খাদিজা আক্তার বলেন, আমার ভাইকে ভাবী ও তার লোকজন মেরে ফেলেছে। ওরা আমাদের খবর পর্যন্ত দেয়নি।
এ বিষয়ে মামলার বাদী খলিলুর রহমান জানান, সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য রিনা বেগম, শাওন ও আরও কয়েকজন মিলে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে আমার ছেলেকে। আমি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
এনবি/
Leave a reply