স্টাফ রিপোর্টার, পটুয়াখালী:
পটুয়াখালীতে ৩০ সেকেন্ডের টর্নেডোতে মো. শাহীন হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। এ ঘটনায় তার মেয়ে স্কুলশিক্ষার্থী মোসাম্মদ মুক্তি আক্তার আহত হয়েছে। টর্নেডোর কবলে পড়ে অন্তত ৭টি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রোববার (৩ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে পটুয়াখালী শহরের চরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জান্নাত আরা। নিহত শাহীন মৃত খবির উদ্দিন হাওলাদারের পুত্র। সে পটুয়াখালী নিউ মার্কেটে মাছের ব্যবসা করতো। তার মেয়ে মুক্তি আক্তার পটুয়াখালী শহরের শেরে বাংলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
সদর থানার ওসি মো. মনিজ্জামান জানান, দুপুর ১টার দিকে হঠাৎ টর্নেডো আঘাত হানে এবং মুহূর্তের মধ্যেই কয়েকটি ঘরের টিনের চালা উড়িয়ে নিয়ে যায়। এ সময় ঘর থেকে মাত্র ২০০ ফুট দূরে লাউকাঠী নদীতে শাহীন হাওলাদার গোসল করতে গেলে বাতাসে উড়ন্ত টিন তার ঘাড়ে আঘাত হানে। এতে তার ঘাড়ের অনেকাংশ কেটে গেলে তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় বাসিন্ধা মো. জাবের হোসেন জানান, শাহীনের মেয়ে মুক্তি তাদের টিনশেড ঘরের মধ্যে বাথরুমে গোসল করতে গেলে টর্নেডোর কারণে টিনের চালা ভেঙে তার মাথার ওপর পড়ে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।
জহির হোসেন নামের স্থানীয় আরেক বাসিন্দা জানান, হালকা বাতাসের সাথে বৃষ্টি শুরু হলে হঠাৎ কুন্ডলী পাকিয়ে টর্নেডো আঘাত হানে। এ সময় কয়েকটি ঘরের টিন উড়িয়ে নিয়ে যায়। উড়ন্ত একটি টিন নদীর তীরে গোসলরত শাহীনের ঘাড়ে আঘাত হানে। এতে শাহীনের বসতঘর ছাড়াও ফিরোজা বেগম, সালাম মিয়া, নয়ন খান ও মোতালেব ভুইয়ার বসত ঘর ও চানভানুর দোকান ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা পটুয়াখালী জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথ জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। তাদেরকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়া হবে।
জেডআই/
Leave a reply