হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরকারি সফর শেষে পর্তুগাল থেকে রোববার (৩ জুলাই) সকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে বিমানবন্দরের লাগেজ বেল্ট এরিয়াতে অপেক্ষমান যাত্রীদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের অভিযোগ শোনেন।
এ সময় তিনি ডিসপ্লে স্ক্রিনে প্রদর্শিত নির্দিষ্ট লাগেজ বেল্টের পাশে লাগেজের জন্য প্রায় দু’ঘণ্টা অপেক্ষমান যাত্রীদের দুর্ভোগের সত্যতা দেখতে পান। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে বিমানবন্দর ব্যবস্থাপকের সাথে যোগাযোগ করলে ব্যবস্থাপক লাগেজ বেল্ট এরিয়াতে আসেন এবং লাগেজ আসতে দেরি হওয়ার বিষয়টি দ্রুত সমাধানের বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় লাগেজের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়াসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালনের কথা বলেন। এ সময় বিমানবন্দরে দায়িত্বরত কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রতি ইউরোপের কয়েকয়টি দেশে সরকারি সফরকালে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন অভিযোগের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিদেশে অনেক কষ্ট করেন এবং তাদের পাঠানো কষ্টার্জিত রেমিট্যান্স দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি সুদৃঢ় করছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, প্রবাসী বাংলাদেশিসহ অন্যান্য বিমানযাত্রীরা বিমানবন্দরে লাগেজ সংগ্রহের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকেন। যাত্রীদের জন্য এটা অত্যন্ত পীড়াদায়ক।
দীর্ঘ বিমানযাত্রার ক্লান্তি নিয়ে সম্মানিত যাত্রীদের এ ধরনের দুর্ভোগের জন্য মূলত বিমানবন্দরে আমাদের অব্যবস্থাপনাই দায়ী বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, কন্সুলার সেবাসহ অন্যান্য সেবার মান উন্নয়নে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে প্রবাসীরা এগুলোর সুফল পেতে শুরু করেছেন। কিন্তু একইসাথে বিমানবন্দরে প্রবাসীদের দুর্ভোগ লাঘবেও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
উপস্থিত যাত্রীদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অচিরেই দুর্ভোগ লাঘবে পদক্ষেপ নিবেন।
পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীকে ফোন করে বিষয়টি অবহিত করলে বিমান প্রতিমন্ত্রী যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে এবং সেবার মান বৃদ্ধির বিষয়ে আশ্বস্ত করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিমানবন্দরে যাত্রীদের মালামাল কয়েক পর্যায়ে স্ক্যানিং প্রক্রিয়া বর্তমানে সহজীকরণের পদক্ষেপ নেয়ার প্রশংসা করেন এবং এজন্য বিমান প্রতিমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ জানান।
/এনএএস
Leave a reply