গতরাতে দেশের ১০ জেলায় মাদকবিরোধী অভিযানে আরও ১০ জন নিহত হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি, বন্দুকযুদ্ধ ও নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিতে মৃত্যু হয় তাদের। এনিয়ে গত সাত দিনে নিহত হয়েছে ৭১ জন।
কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভের মিঠাপানিছড়া এলাকায় ইয়াবা ব্যবসায়ীদের অবস্থান জানতে পেরে অভিযান চালায় র্যাব। উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা চালানকারীরা র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য কোরে গুলি করে। র্যাব পাল্টা জবাব দিলে বেশ কিছুক্ষণ গোলাগুলি চলে। পরে ঘটনাস্থল থেকে টেকনাফ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর একরামুল হকের লাশ উদ্ধার হয়।
পুলিশের ভাষ্য, ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কে শৈলকুপার বড়দাহ জামতলা এলাকায় দু’দল মাদক ব্যবসায়ীর গোলাগুলি চলছে- এমন খবর পেয়ে গভীর রাতে সেখানে যায় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্যসহ উদ্ধার করা হয় লিটন নামে একজনের মরদেহ।
মেহেরপুরের গাংনীতে দু’দল মাদক ব্যবসায়ীর বন্দুকযুদ্ধে হাফিজুল নামে একজন নিহত হয়েছে। মাদকের টাকার ভাগভাটোয়ারা নিয়ে তারা বাথান মাঠ এলাকায় গোলাগুলিতে জড়িয়েছিল বলে দাবি পুলিশের। ঘটনাস্থল থেকে পিস্তল ও ১১২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার হয়।
কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং ডি ব্লক এলাকায় মাদক বিক্রির খবর পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছোড়ে মাদক ব্যবসায়ীরা। পুলিশও পাল্টা জবাব দেয়। দু’পক্ষের বন্দুকযুদ্ধের একপর্যায়ে ঘটনাস্থল থেকে হালিম নামে একজনের লাশ উদ্ধার হয়। পুলিশের দাবি, হালিম চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ইয়াবা ও দুটি বন্দুক উদ্ধার হয়েছে।
কথিত বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হয়েছে বাগেরহাটের চিতলমারীতে। পুলিশের ভাষ্য, মাদকবিরোধী অভিযানে গেলে তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়। পুলিশও পাল্টা জবাব দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মিঠুনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এদিকে, নোয়াখালী, ময়মনসিংহ, খুলনা, চাঁদপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ৫ জন নিহত হয়েছে। তারা সবাই মাদক ব্যবসায়ী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Leave a reply